পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পিএইচই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রশাসনিক পর্যালোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা সহ রাজ্যের সব হাসপাতাল, যেখানে জরুরি ভিত্তিতে কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন সেন্টার চলছে, সেখানে পানীয় জল সরবরাহের কোনও খামতি যেন না থাকে। সূত্রটি জানিয়েছে, এরপরেই বোতলবন্দি পানীয় জল ‘প্রাণধারা’ তৈরির ১৩টি প্ল্যান্টে জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। এই প্ল্যান্টগুলি হল বারাকপুর, বজবজের দক্ষিণ রায়পুর ও কৃষ্ণমোহন, নদীয়ার হরিণঘাটা, মুর্শিদাবাদের লালবাগ, পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী, মালদহের দরিয়াপুর, জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি, কোচবিহারের চকচকা, বাঁকুড়ার দেজুড়ি, বীরভূমের মুলুক, উত্তর দিনাজপুর ইটাহার এবং হাওড়ার বালি-জগাছায়। এরমধ্যে চকচকা প্ল্যান্টে ব্যবহার করা হয় ভূগর্ভস্থ জল এবং দেজুড়িতে দুর্গাপুর ব্যারেজের জল। বাকি প্ল্যান্টগুলি সবই স্থানীয় নদীর জল ব্যবহার করে। পিএইচপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১০টি প্ল্যান্টে দিনরাত কাজ চলছে। বাকি তিনটিতে প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন করা হচ্ছে। ঘণ্টায় ৩,৬০০ বোতল পানীয় জল তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে প্ল্যান্টগুলিতে। তৈরি করা হচ্ছে এক লিটার এবং ৫০০ এমএল’র বোতল। তবে এর মধ্যে সিংহভাগই ৫০০ মিলিলিটারের।
কোথায় কোথায় সরবরাহ করা হচ্ছে এই বোতলবন্দি পানীয় জল? জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতাল, পুরসভার সাফাই কর্মী, পুলিস, ট্রাফিক পুলিস, পরিবহণ কর্মী সহ সবাইকেই এই জল দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালেও চাহিদা অনুযায়ী পাঠানো হচ্ছে জলের বোতল ও পাউচ। এছাড়াও, বিভিন্ন হাসপাতালের আউটডোরে আসা রোগীদের মধ্যেও বিলি করা হচ্ছে পানীয় জলের পাউচ। পিএইচই সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে এভাবেই পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।