পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যেমন একটি প্রতিবেশী রাজ্য থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, কাজের সূত্রে তিনি বাইরে থাকলেও তাঁর পরিবার কলকাতায়। ছ’ বছরের একটি ছোট মেয়ে আছে। তাকে নিয়েই চিন্তা বেশি। সেখান থেকে ফিরে আসবেন কি না, তাও জানতে চান তিনি। চিকিৎসক ও মনোবিদদের পরামর্শে ঠিক করেন, ওখানেই থেকে যাবেন। রাজ্যের একটি জেলা থেকে এক মা ফোন করে বলেন, তাঁর বাচ্চাকে সামলানো কঠিন হয়ে উঠছে। কিছুতেই সে বাড়িতে থাকতে চাইছে না। নিরুপায় সেই অভিভাবক হেল্পলাইনে ফোন করে পরামর্শ চান। মনোবিদরা কথা বলেন সেই বাচ্চার সঙ্গে। কী করতে হবে, আর কী নয়, ওই শিশুর মা’কে বাতলে দেওয়া হল। ভিনরাজ্য থেকে আরও একটি ফোন আসে। চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসা করা হয়, টানা লকডাউন শিশুমনে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে? আবার এক কিশোর বাড়ি থেকে বেরনোর জন্য ছটফট করছে। কীভাবে তার মনকে শান্ত রাখা যায়, তাও জানতে চাওয়া হয় চিকিৎসক ও মনোবিদদের কাছে। টানা লকডাউনে অনেকের মধ্যেই আতঙ্ক চেপে বসেছে। কীভাবে সেই ভয় কাটানো যায়, সেই পরামর্শও চেয়েছেন অনেকে। কমিশনের বক্তব্য, চিকিৎসক ও মনোবিদরা সবাইকেই নানা পরামর্শ দিচ্ছেন, তাতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কমিশনের সদস্য যশোবন্তী শ্রীমানী বলেন, এই রকম পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের বাড়ির বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হবে। হাল্কা কাজগুলি করার জন্য তাদের উৎসাহ দিতে হবে। এতে মন অন্যদিকে যাবে না। তাছাড়া আগামীদিনে বাচ্চাদের মধ্যে দায়িত্ববোধও তৈরি হবে। কাজ করার জন্য তারাও উৎসাহিত হবে।