পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনার জন্য পুলিস কর্মীদের ডিউটিতে কোনও কাটছাঁট নেই। পর্যাপ্ত সংখ্যায় ফোর্স সবসময় রাখা হচ্ছে, যাতে হঠাৎ করে কোনও বিপর্যয় ঘটলে তার মোকাবিলা করা যায়। ডিউটি করতে আসার সময় চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পুলিসকর্মীদের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন সিআইডি ও আইবির সদর দপ্তর বা পুলিস ডিরেক্টরেটে কর্মরত ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মীরা। থানার ইন্সপেক্টরদের মতো তাঁরা আলাদা কোনও গাড়ি পান না, পুলিসের পুলকারই তাঁদের ভরসা। তাতে চড়ে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারেন, এরপর বাস বা ট্রেনে করেই বাড়ি পৌঁছতে হয়। করোনার কারণে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এই সময় কোনও ধরনের ছুটি নেওয়া যাবে না। কিন্তু ট্রেন বা বাস বন্ধ থাকায় এই সমস্ত বিভাগে কর্মরতদের কেউই অফিসে আসতে পারছেন না। তাঁদের সিংহভাগই থাকেন দূরের জেলায়। নিয়মের জটিলতায় সেখানে পুলিসের বাস বা পুলকার পাঠানো সম্ভব নয়। এই অবস্থায় বাড়িতেই আটকে পড়েছেন তাঁরা। বিষয়টি কানে গিয়েছে রাজ্য পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের। কীভাবে তাঁদের কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয়— সিআইডি বা আইবির সদর দপ্তর এবং পুলিস ডিরেক্টরেটে যে সমস্ত অফিসার বা নিচুতলার পুলিস কর্মী রয়েছেন, তাঁদের কলকাতায় আসার প্রয়োজন নেই। যে জেলায় তাঁরা থাকেন, সেখানে হাজিরা দিলেই চলবে। এরপরই নির্দেশিকা জারি করা হয়। করোনা সমস্যা মিটে গেলে তাঁরা যে ইউনিটে পোস্টিং রয়েছেন, সেখানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।