নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের শহরাঞ্চলে লকডাউন প্রায় সর্বাত্মক। কিন্তু গ্রামবাংলার ছবিটা সত্যিই বেশ চিন্তার। বিশেষ করে হুগলি, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে মানুষ লকডাউনের নিয়ম মানতে চাইছে না। জনঘনত্বের নিরিখে এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। এবিষয়ে জেলা প্রশাসনকে যথাসম্ভব সতর্ক করেছে রাজভবন। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক বৈঠকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুকে এই তথ্যই জানালেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যের হাল জানাতে গিয়ে ধনকার এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, দেশের সব রাজ্যপাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে এদিন করোনা কেন্দ্রিক সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এই ভিডিও বৈঠকে মিলিত হন কোবিন্দ-বেঙ্কাইয়া। তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।ধনকার ওই বৈঠকে নবান্ন থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি-উপরাষ্ট্রপতিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অবহিত করেন। তিনি জানান, এই বৈঠক নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে একদফা কথা বলে নিয়েছেন। মমতা তাঁকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সরঞ্জামের জন্য কেন্দ্রকে অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি লকডাউনের কারণে রাজ্যের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বেহাল দশা নিয়েও উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতের জন্য কেন্দ্র যাতে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগয়, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেন তিনি। যদিও বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সারা দেশের জন্য যে আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা এই বিষয়টিতে ইতিমধ্যেই দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যপাল অভিমত ব্যক্ত করেন। ধনকার কোবিন্দ-বেঙ্কাইয়াদের আরও জানান, লকডাউন চলাকালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে তিনি রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চিত্রকর, শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছেন।