পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। করোনা নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জেলা স্তরেও ডিএম, এসপিদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতায়াতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা দেখতে বলা হয়েছে। বাজারে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে এদিনও আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আগেই ঘোষণা করেছেন, ছ’মাস বিনামূল্যে চাল, গম দেওয়া হবে। এদিন তিনি ফের বলেন, আমি বলেছি, এক মাসের রেশন এখনই দিয়ে দিতে। ছ’মাস এভাবেই পাবে, তারপর প্রয়োজন হলে দেওয়া হবে। পাঁচ হাজার থার্মাল গান, দশ হাজার লিটার হ্যান্ড সানিটাইজার পাওয়া গিয়েছে। তা দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দয়া করে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো বা আজগুবি পোস্ট করবেন না। এমনকী তা শেয়ারও করবেন না। এই পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন নিয়ে দয়া করে কেউ মশকরা করবেন না। এ বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, এই ‘ফেক’ পোস্ট যাঁরা করছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে। গোয়েন্দাদের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের পোস্ট করে কেউ পার পাবেন না।তিনি জানিয়েছেন, এই সময় সেই সব ছেলে মেয়েদের দরকার, যাঁরা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করবেন। অনলাইনের মাধ্যমে তাঁরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যাঁরা অন্ততপক্ষে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কাজ জানেন এবং সচেতন, তাঁদের রাজ্য সরকার প্রয়োজন মতো কাজে লাগাবে। তাঁরা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কাজ করবেন এবং রোজ আড়াইশো টাকা করে পাবেন। এর ফলে একইসঙ্গে দু’দিকের কাজ সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নবান্ন থেকে বেরিয়ে তিনি আলিপুরে ভবানী ভবনের সামনে রিকশ চালকদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। পরে কালীঘাটের নাইট শেল্টারে থাকা মানুষদের হাতেও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, করোনা রিলিফ ফান্ডকে সিএম রিলিফ ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে আর্থিক সাহায্য করলে আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে।