কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চলতি মাসের শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় নোটিস জারি করে জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার মেয়াদ বৃদ্ধি না করলে ৩১ মার্চের পর আর কোনও কাজ করা যাবে না। ফলে বেশ উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল ক্যাম্পাস জুড়ে। কিন্তু কেন্দ্রের এই বার্তা সমস্ত উদ্বেগ কাটিয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
যাদবপুরকে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিল। প্রথম কিস্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে কর্তৃপক্ষ একটি সেন্ট্রাল ইকুইপমেন্ট ল্যাবরেটরি ও বেশ কিছু নতুন নির্মাণের কাজ করবে বলে ঠিক করেছিল। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় সময়। হিসেব করে দেখা যায়, এই টাকা খরচ করার জন্য এক বছরের বেশি সময় লাগবে। এক আধিকারিক বলেন, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঘোষণা করা না হলেও, প্রথম কিস্তির টাকা খরচের সময় বাড়ল। তাতে আমাদের অনেক সুবিধা হল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খুললে যে সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে, তা জোরকদমে শেষ করা হবে।
এদিকে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক নোটিস জারি করে বলা হয়েছে, পেনশনভোগীদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো হল। ৩১ মার্চের পরিবর্তে এবার তারা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতনের প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথম দিকেই বেতন পাবেন তাঁরা। যদিও বেতনের সঙ্গে যে সমস্ত আনুষঙ্গিক ভাতা ও খরচ পাওয়ার কথা ছিল, তা যোগ করা হয়নি। কারণ ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় তার তথ্য অর্থ বিভাগের কাছে সংগ্রহ করা হয়নি। গবেষকদের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের যে মাসিক ভাতা পাওয়ার কথা, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই তা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে। পরিসংখ্যান বলছে, রুসা প্রকল্পের অধীনে রয়েছেন ৩০০ জন এবং তার বাইরে আছেন আর আরও ৪০০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আরও একটি সুখবর এসেছে। সেটি হল, ইউনিভার্সিটি পোটেনশিয়াল অফ এক্সেলেন্স (ইউপিই) খাতে যাদবপুরকে দু’কোটি টাকা দিল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, গতবছর জুন মাসে এই টাকা দাবি করেছিল কতৃপক্ষ। এই টাকার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। ফলে বলাই যায়, লকডাউন পরিস্থিতিতেও এই জোড়া সুখবরে কিছুটা উচ্ছ্বসিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।