পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেক জায়গায় তাও মিলছে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ওষুধ পাওয়ার ক্ষেত্রে। একথা জানার পরই মুখ্যমন্ত্রী পুলিসকে নির্দেশ দেন সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য। সেই সঙ্গে ভবঘুরেদের সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য তাঁদের কাছেও খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। মমতার এই নির্দেশের পরই কলকাতা পুলিসের সমস্ত ডিভিশনের পক্ষ থেকে থানাগুলিকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। যদি কেউ গড়িমসি করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী ক্লোজ পর্যন্ত করা হতে পারে। তারপর উঠেপড়ে লেগেছেন পুলিস কর্মীরা। বিভিন্ন ডিভিশনের থানা এলাকায় সাধারণ মানুষ যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পান, সেজন্য এলাকায় থাকা মুদির দোকানগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গিয়েছে পুলিস কর্মীদের। এমনকী বয়স্কদের কাছে বিভিন্ন সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে পুলিস। জিনিসের প্রয়োজন পড়লে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের।
পুলিস কর্মীদের এই মানবিক ভূমিকায় রীতিমতো সন্তুষ্ট সকলে। তাঁরা যে এতটা সাহায্য করতে পারেন, একথা ভেবে উঠতে পারছেন না অনেকেই। এর সঙ্গেই এলাকায় থাকা ভবঘুরেদের ঘুরে ঘুরে খাবার বিলি করেছেন থানার কর্মীরা। তাঁদের থাকার জন্য নাইট শেল্টারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই লকডাউন ভেঙে যাতে কেউ রাস্তায় নেমে না পড়ে বা রাস্তায় জটলা না করে সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় চলছে নজরদারি। শুক্রবার লকডাউন ভাঙার অভিযোগে ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিস।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্য পুলিসের বিভিন্ন এলাকাতেও সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করতে রাস্তায় নেমেছে পুলিস। বিশেষত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্ক তারা। ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেই সঙ্গে বাজারে যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো না হন, সেজন্য চলছে প্রচারও।