বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন স্বাস্থ্যভবনে দফায় দফায় করোনা নিয়ে বৈঠক হয়। তাতে ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি পরামর্শদাতা টিম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে আছেন রাজ্যের দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী এবং ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য, ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়, ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, ডাঃ বিভূকল্যাণী দাস, ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ, ডাঃ আশুতোষ ঘোষ, ডাঃ মামেন চণ্ডী, ডাঃ বিভূতি সাহা, ডাঃ সুবীর দত্ত, ডাঃ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায় এবং ডাঃ প্লাবন মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় পাওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যের ২৫ হাজার ৯৬ জনকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯৭ জনের পরীক্ষা হয়েছে। ১০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। ২৮টি নমুনা আসা বাকি। ১৮১৮ জন নজরদারির ১৪ দিনের পর্ব শেষ করেছেন।
এদিকে, ওই বৃদ্ধের ঘনিষ্ঠ বলয়ে আসা এগরার ১৩ জনের তালিকা তৈরি করে তাঁদের প্রত্যেকের থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পিজি হাসপাতালে পাঠাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, এগরার মহকুমাশাসক অপ্রতীম ঘোষ, এসডিপিও আক্তার আলি খান, পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা প্রমুখ এগরা শহরের দীঘামোড়ে ওই প্রৌঢ়ের আত্মীয়ের বাড়িতে হাজির হন। মোট ১৩ জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া দু’জায়গায় ২৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই বৃদ্ধের এগরা যোগ জানাজানি হওয়ায় গোটা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ, একটি বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে এসেছিলেন ওই প্রৌঢ়। এবং সেই অনুষ্ঠান বাড়িতে প্রচুর অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। সিঙ্গাপুর, আমেরিকার পাশাপাশি দিল্লি, ওড়িশা, হায়দরাবাদ এবং ঝাড়খণ্ড থেকেও কয়েকজন অতিথি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, মোট ১৩ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের করোনা টেস্ট হবে। সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। সিএমওএইচ ডাঃ মণ্ডল বলেন, এগরায় অনুষ্ঠান বাড়িতে এসেই ওই প্রৌঢ় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
নয়াবাদের ওই বৃদ্ধ ১২ মার্চ এগরায় ভায়েরা ভাই শুভাশিস মাইতির ছেলে অরুময় মাইতির বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। ১৩ মার্চ ছিল বিয়ে। ১৫ তারিখ বউভাত শেষে ১৬ মার্চ রাতে দীঘায় যান। অসুস্থ বোধ করায় ১৮ তারিখ দীঘা থেকে এগরায় আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরে আসেন। ১৯ ও ২০ তারিখে জ্বর ও কাশি বেশি হওয়ায় স্থানীয় দু’জন চিকিৎসককে দেখানো হয়। স্থানীয় একটি ল্যাবে রক্তের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। ২২-এ কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।