বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন নবান্ন থেকে বেরিয়ে পোস্তা, জানবাজার, তালতলা, লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট বাজার আচমকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা সহ কলকাতা পুলিসের অন্যান্য কর্তা এবং টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হাল-হকিকত খতিয়ে দেখেন তিনি। খুচরো ব্যবসায়ীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য পাইকারি সব্জি বাজার নিযমিত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানবাজারে ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি রুখতে এবং দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার জন্য ইটের টুকরো দিয়ে নিজেই রাস্তায় গোল করে সুরক্ষারেখা টেনে দেন। কীভাবে, কতটা দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে গ্রাহকদের, তা রাস্তায় এঁকে বুঝিয়ে দেন মমতা। এদিন তিনি পোস্তা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন। পোস্তা বাজার যেন বিকেল ৫টা পর্যন্ত রোজ খোলা থাকে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোকানে অযথা ভিড় যাতে না হয়, তা দেখার নির্দেশ দেন পুলিসকে। পাশাপাশি পাইকারি বাজারে সব্জি-আনাজ যাঁরা আনেন, তাঁদের যেন ছাড় দেওয়া হয়, এদিনও তা বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এইসব ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট পাশ দেওয়ার জন্য পুলিসকে নির্দেশ দেন। গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে একইরকম পাশ তৈরির পরামর্শ দেন তিনি। সেই পাশ দেখালে যাতায়াতে ছাড় পাবেন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবসায়ীরা।
একইসঙ্গে পাইকারি সব্জি বাজার যাতে খোলা থাকে, তা দেখার জন্য তিনি পুলিস আধিকারিক ও টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, তা নাহলে খুচরো ব্যবসায়ীরা অসুবিধায় পড়বেন। ভোগান্তি হবে ক্রেতাদের। জানবাজারের পর মুখ্যমন্ত্রী যান রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে। সেখানে মঠ রোডে পাখিরালয় দেখে দাঁড়িয়ে যান। বলেন, পাখিদের জল, খাবার দেওয়া হচ্ছে তো। এখন আপাতত চিড়িয়াখানায় পাঠানো হোক, স্বাভাবিক হয়ে গেলে আবার নিয়ে আসা হবে। সেখানকার খুচরো বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, খাদ্যদ্রব্য পাওয়া নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। পাওয়া যাবে সব। শুধু সতর্কতা জরুরি। গড়িয়াহাট মার্কেটেও যান তিনি। সেখানেও একইরকম নির্দেশ দেন। রাস্তায় যেসব জায়গায় আবর্জনা দেখতে পান, সেগুলি অবিলম্বে পরিষ্কারের নির্দেশ দেন। গড়িয়াহাট মার্কেট থেকে লেক মার্কেটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করেন তিনি।