কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থায় কর্মরত ওই বাসের চালক পুলিসকে জানিয়েছেন, বিশেষ বাস নিয়ে বুধবার সকালে তিনি আসানসোলে যান। তাতে ছিলেন ভিনরাজ্যের কিছু শ্রমিক ও আসানসোলের কয়েকজন বাসিন্দা। দুটি বাস গিয়েছিল। তাঁদের নামিয়ে রাতে তাঁরা আসানসোলেই থেকে যান। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় রওনা হওয়ার আগে বরাকর থানার পুলিস কর্মীরা এসে এক মহিলাকে বাসে বসিয়ে দিয়ে যান। তাঁরা জানান, মহিলার বাড়ি বেহালায়। তাঁকে ধর্মতলায় নামিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। যেহেতু বিশেষ বাস ছিল, তাই চালক পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে রাখেন। বাসটি সকাল ৮টা নাগাদ আসানসোল থেকে যাত্রা শুরু করে।
চালকের বক্তব্য, আসানসোল থেকে ওঠার পর ওই মহিলা গোটা রাস্তাই কাশতে থাকেন। তিনি এক কোণে বসেছিলেন। তাঁর ওই কাশি দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যান চালক ও কন্ডাক্টর। চালক বাস নিয়ে সোজা ধর্মতলায় চলে আসেন। সেখানে তাঁকে নামতে বলা হলে তিনি রাজি না হওয়ায় বিষয়টি ময়দান থানা ও পরিবহণ দপ্তরের অফিসারদের জানানো হয়। ময়দান থানার অফিসাররা আসেন। তিনি কাশতে থাকায় চালককে বলা হয় বাসটি নিয়ে সোজা বেলেঘাটা আইডিতে যেতে। সেইমতো তিনি সেখানে বাস নিয়ে যান। কিন্তু আইডিতে গিয়েও বাস থেকে নামতে চাননি ওই মহিলা। বাধ্য হয়েই চালক পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের ফোন করে বিষয়টি জানান। তাঁদের তরফে বেলেঘাটা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। থানার অফিসাররা আইডিতে এসে মহিলাকে বোঝালে শেষ পর্যন্ত তিনি বাস থেকে নামেন। আইডিতে জায়গা না থাকায় সিদ্ধান্ত হয় তাঁকে এম আর বাঙ্গুরে পাঠানোর। পুলিসই অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। বাসটি জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। বাসের চালক ও কন্ডাক্টরের প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। তবে ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত কি না, তা স্পষ্ট নয়। পরীক্ষার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।