বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ নবান্ন সভাঘরের সর্বদলীয় বৈঠকে সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার বাসিন্দাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সেইসব রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতার নির্দেশে ওই রাজ্য প্রশাসনগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং ডিজি বীরেন্দ্র। এই সবের মাঝেই বুধবার মহারাষ্ট্রে আটকে থাকা এ রাজ্যের ৮৭ জন বাসিন্দার একটি ভিডিও বার্তা সামনে আসে। যে ভিডিও বার্তায় আটকে পড়া ব্যক্তিরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে আকুতি জানিয়েছিলেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সিপিএম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। ভিন রাজ্যে আটকে পড়া এখানকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানিয়ে মমতাকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরীও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার বাসিন্দাদের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। বিষয়টি নিয়ে আলাদা আলাদা করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর নির্দেশে কথাবার্তা চালান নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকরা। একইসঙ্গে দেশের ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিজের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ করেছেন মমতা।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীদের মমতা লিখেছেন, আমরা খবর পাচ্ছি, নানা কাজে যাওয়া এ রাজ্যের বেশ কিছু বাসিন্দা আপনার রাজ্যে আটকে পড়েছে। আটকে পড়া লোকজনের কাছ থেকে আমরা ‘এসওএস’ বার্তাও পাচ্ছি। এরা সংখ্যায় ৫০ থেকে ১০০ জন করে রয়েছেন। আপনার প্রশাসন সহজেই তাঁদের চিহ্নিত করতে পারবে। এই মুহূর্তে তাঁদের কোনও সাহায্য পাঠানো আমাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। আপনার কাছে অনুরোধ, এই বিপর্যয়ের মধ্যে দয়া করে তাঁদের মানবিক সাহায্য অর্থাৎ থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনকে বলুন। বাংলায়, আমরাও এভাবেই আটকে পড়া ভিন রাজ্যের মানুষকে সাহায্য করছি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আটকে পড়া এহেন মানুষের তালিকা আমাদের মুখ্যসচিব আপনার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠাচ্ছেন, যাতে এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে অসহায় ওই মানুষগুলোর কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়।