পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ বলেন, করোনার থাবায় আক্রান্ত বাংলাও। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার যথাসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রয়োজন হয়ে পড়েছে প্রচুর অর্থের। সেই সমস্যা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ করোনা ত্রাণ তহবিলে সাধ্যমতো দান করতে সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। আমাদের বিধায়করা সকলেই সংবেদনশীল এবং সচেতন। তাঁরা অনেকেই করোনা মোকাবিলার কাজে ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁদের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। আমি অধ্যক্ষ হিসেবে এবার তাঁদের কাছে বিধানসভার কমিটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মাসিক ভাতা বাবদ পাওনা ৬০ হাজার টাকা করে মুখ্যমন্ত্রীর করোনা তহবিলে দান করার আবেদন করছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউনের জন্য চলতি মাসে কমিটির বৈঠকে বিধায়কদের আসতে হবে না। তবু তাঁদের ভাতা দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হয়েছিল। আমি সেই এক মাসের ভাতার অংশটুকু দান করার আবেদন জানাচ্ছি। বিধায়করা এই টাকা চেক বা আরটিজিএস পদ্ধতির মাধ্যমে করোনা তহবিলে দিতে পারবেন। তবে কে কী করলেন, সেই হিসেব রাখতেই সরকারি মুখ্য সচেতকের অফিসে তা জানিয়ে দেবেন।
অধ্যক্ষের এই আবেদনে এক সুরে সাড়া দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। শাসক শিবিরের পক্ষে এব্যাপারে পথ দেখিয়েছেন স্বয়ং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এদিন নিজে দু’লাখ টাকা দিয়েছেন করোনা তহবিলে। তৃণমূল বিধায়কদের কাছেও এব্যাপারে মোবাইল বার্তা যাচ্ছে। তবে বিরোধীরাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। কংগ্রেস তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি’র বিধানসভার নেতা মনোজ টিগ্গা এদিন বলেন, অধ্যক্ষের প্রস্তাব নিঃসন্দেহে খুব ভালো। আমাদের এনিয়ে কোনও আপত্তি নেই। আমরা এই ধরনের উদ্যোগের কথা আগেই ভেবেছিলাম। তার প্রথম ধাপ হিসেবে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা আমরা ঘোষণা করেছি। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর দলের সব বিধায়করে তৃণমূল পরিষদীয় ফান্ডে এই অর্থ জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন।