বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভিনরাজ্য থেকে সম্প্রতি বাড়ি ফেরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট ২৫হাজার লোককে এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিন সকালে তমলুক, পাঁশকুড়া, নন্দকুমার মহিষাদল, হলদিয়া সহ বিভিন্ন থানার পুলিস রাস্তায় নেমেছিল। এগরার এসডিও অপ্রতিম ঘোষ নিজেও রাস্তায় নেমে মানুষজনকে সতর্ক করেন। এদিকে তমলুকে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বাসুদেব ঘোষ ঠাকুরের বাৎসরিক স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। করোনা আতঙ্কের পরিবেশে ৫থেকে ১১এপ্রিল নির্ধারিত ওই অনুষ্ঠান বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিদেশফেরত ১৩৬জন এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে আসা প্রায় ২০হাজার শ্রমিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। জেলাজুড়ে বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানের সামনে মার্কিং করে দিয়েছে পুলিস। দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিসের এই উদ্যোগ। মেদিনীপুর শহরে সকালেই দু’টি মদের দোকানের সামনে ভিড় দেখে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিস। সবং, পিংলা এবং খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার বেশকিছু জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা ‘বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ’ শীর্ষক বোর্ড লাগিয়েছেন। ডেবরা-পটাশপুর রাস্তায় সবং থানার পুলিস ভ্যান এবং বাইকে টহল দেওয়ার সময় কয়েকজনকে আড়ংধোলাই দেয়। পিংলার করকাইয়ে জলপাই পোশাক পরে পুলিস টহল দিয়েছে। খড়্গপুর শহর এলাকায় বাড়ি বাড়ি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রী পৌঁছনোর জন্য কিছু সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছেন বিধায়ক প্রদীপ সরকার এবং এসডিও বৈভব চৌধুরী।
সকালের দিকে মেদিনীপুর এবং খড়্গপুরের সবজির বাজারে কেনাকাটার জন্য ক্রেতাদের ভিড় ছিল। বেলা বাড়তে সর্বত্র শুনশান হয়ে যায়। গড়বেতা এবং ডেবরা জেলার দু’দিকে দুই সীমানায় স্ক্রিনিং পয়েন্ট চালু করেছে জেলা প্রশাসন। পুলিস সুপার দীনেশ কুমার বলেন, জেলায় সমস্ত আইসি এবং ওসির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনা সংক্রান্ত যে কোনও বিষয় জানার এবং জানানোর জন্য আমাদের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৮০০১০০৭৮৬৮। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিংবা কোনও বিষয়ে কিছু জানার থাকলে এই নম্বরে ফোন করা যাবে।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার জুবিলি মার্কেটে মাস্ক ছাড়া সব্জি বিক্রি করা যাবে না এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্রেতাদের থাকতে হবে বলে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে বুধবার ঘোষণা করা হয়। ঝাড়গ্রামের জিতুশোলে লকডাউন সত্ত্বেও স্পঞ্জ আয়রন কারখানা চালু থাকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। রঘুনাথপুরে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পেতে উপভোক্তারা অফিসের সামনে লাইনে দাঁড়ান। বিশাল লাইন পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিস লাইন হটিয়ে দেয়। এরপর বাড়ি বাড়ি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার সময় ৭নম্বর ওয়ার্ডে কাড়াকাড়ি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর রেকর্ড করা বক্তব্য এদিন প্রচার করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগেও মাইকিং করা হয়।