কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে। মন্দার জেরে এমনিতেই আর্থিক বৃদ্ধির হার কমছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস সামগ্রিক অর্থনীতিকে একদম তলানিতে টেনে এনেছে। প্রধানমন্ত্রীকে মমতা লিখেছেন, এটা আপনিও নিশ্চিতভাবে মানবেন যে, ভাইরাস প্রতিরোধে অত্যন্ত জরুরি ‘লকডাউন’-এর জেরে বিভিন্ন রাজ্যের মতোই এ রাজ্যেও রাজস্ব সংগ্রহ করার কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, রাজ্যের রাজস্ব যে জিএসটি সংগ্রহের উপর ৭০ শতাংশ নির্ভরশীল, তাও কমতে শুরু করেছে। এসব ছাড়াও কেন্দ্রের তরফেও কর সংগ্রহ কমেছে। যার জেরে সংগৃহীত কেন্দ্রীয় করের যে অংশ রাজ্য পায় (ডিভ্যালুয়েশন টু স্টেট), তাও তলানিতে এসে ঠেকছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার জেরে এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক বিপর্যয় রাজ্যের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে পিছিয়ে দিতে পারে। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এফআরবিএম মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি আর্থিক বছরে রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল ৬৫ হাজার ৫৪৬.১২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় করের অংশ (ডিভ্যালুয়েশন টু স্টেট) বাবদ রাজ্যের পাওয়ার কথা ৬২ হাজার ৩৯৬.৩০ কোটি টাকা। এরই পাশাপাশি জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহ হওয়ার কথা ৫৩ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার জেরে আর্থিক কাজকারবার বন্ধ হওয়ায় এবং লকডাউনের জেরে রাজস্ব সংগ্রহের এই সমস্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়াটা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এফআরবিএম-এর মাত্রা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্যের আর্থিক বিপদ এড়ানোর পথ খুঁজেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এফআরবিএম-এর মাত্রা বাড়ানো হলে প্রয়োজনীয় সংশোধনী বিধানসভায় করিয়ে নেওয়া হবে।