কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় ও মহকুমা উপ সংশোধনাগার ইংরেজ আমলের তৈরি। ফলে ওই সব জেলের সাইরেনগুলি অত্যন্ত পুরনো। মান্ধাতার আমলের ওই সাইরেনের যন্ত্রপাতি অনেক জায়গাতেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। আবার কোথাও তা সারানোও হয়েছে। এক জেল আধিকারিকের কথায়, যে কোনও জিনিস ব্যবহার করলে সেটি যেমন ঠিকঠাক থাকে, তেমনই কোনও জিনিস দীর্ঘদিন ব্যবহার করা না হলে তার কার্যকারিতা ঠিক থাকে না। তাই ওই সাইরেনগুলির হাল-হকিকত মাঝে মধ্যেই খতিয়ে দেখা জরুরি। আর সেই কাজটাই শুরু হয়েছে এখন প্রতিটি জেলে।
আলিপুর সেন্ট্রাল জেলেও সাইরেন রয়েছে। কয়েক বছর আগেও নেতাজি জয়ন্তীতে ওই বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাতে বাজানো হয়েছিল। এই জেলেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সহ একাধিক জননেতা ও বিপ্লবী বন্দি ছিলেন। সেই ইতিহাস প্রসিদ্ধ সেল এখনও রয়েছে। সেকারণেই নেতাজির মতো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাইরেন বাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এই জেল থেকে বন্দিদের বারুইপুর সহ অন্য জেলে স্থানান্তর করার পর ওই জেল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জেলের সাইরেনও বন্ধ করে রাখা হয়। তবে সেটি ঠিক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। ওই অফিসারের কথায়, এই জেলের পাগলাঘণ্টি একটি দ্রষ্টব্যও বটে। সেই কারণে এই জেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটি সযত্নে রেখে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সরকারি এই উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।