বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সেই বৈঠকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে কলকাতার মতো রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বা সেফ হাউস তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তা মেনেই মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও এর আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফ্লাড সেন্টার এবং রেসকিউ সেন্টারকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে মমতা জানান, ভিন রাজ্য থেকে ফেরা ৪১০০ জনকে ওই সমস্ত অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসাকর্মীরা সেখানে নজরদারি চালাচ্ছেন।
করোনার উপসর্গ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট, নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্র, থার্মাল স্ক্যানার সহ অন্যান্য সরঞ্জামের অপ্রতুলতার বিষয়টি এদিনের বৈঠকে তোলা হয় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, ফরওয়ার্ড ব্লক সহ অন্য দলগুলির পক্ষ থেকে।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এই সমস্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সেও আমি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলাম, মাত্র ৪০টা কিট রয়েছে আমাদের কাছে। আজ পর্যন্ত আইসিএমআর ৯০টি কিট পাঠিয়েছে, যা পর্যাপ্ত নয়। এরপরই বিজেপি’র প্রতিনিধি জয়প্রকাশ মজুমদার ও সায়ন্তন বসুকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দলের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলুন না মরেটরিয়াম দিতে। অন্তত বুলবুল দুর্যোগের টাকাটা দিতে বলুন না! কাজে লাগবে। রাজনীতি আমরা পরে করব।
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং সিপিএম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বাংলার প্রতি কেন্দ্রের অনেক বঞ্চনা রয়েছে। কেন্দ্রের উচিত সাহায্য করা। আপনি দাবি জানান, আমরা পাশে আছি। সর্বদলীয় বৈঠকে একসুরের এই উপলব্ধি থেকেই এদিন ঠিক হয়েছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহ বিশেষ প্যাকেজ চেয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। তাতে স্বাক্ষর করবেন সব দলের প্রতিনিধিরা।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে এটিকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে একসুরে অভিহিত করেছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপি’র মনোজ ভট্টাচার্য, অশোক ঘোষ, সিপিআইয়ের স্বপন দাশগুপ্ত এবং এসইউসি’র চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য সহ দলীয় প্রতিনিধিরা। করোনা মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্য সংবলিত দু’পাতার একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয় সকলকে। রাজ্যের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সব দলই।