পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, পেশায় রেলকর্মী চতুর্থ আক্রান্ত ২৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে ভাগলপুর গিয়েছিলেন। ফেরেন ২ মার্চ। অফিস করেন ৭ মার্চ পর্যন্ত। ৯ মার্চ বাড়িতে দোল খেলেন। ১১ তারিখ নাগাদ অসুস্থ বোধ করেন। জ্বর আসে। দু’জন ডাক্তারকে দেখান পরপর। ওষুধ খান। চেস্ট এক্স-রে করালে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ১৬ মার্চ সল্টলেকের প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে এখন নজরে ২৬ ফেব্রুয়ারির জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস, সঙ্গে ২-৭ মার্চ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করা রেলকর্মীরা এবং ৯ মার্চ তাঁর সঙ্গে বাড়িতে দোল খেলা মানুষজন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি গোষ্ঠী সংক্রমণ কি না, সন্দেহ রয়েছে। ওঁর ট্রেনযাত্রার ইতিহাস ও তা থেকে সংক্রমণ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এদিকে স্বাস্থ্য দপ্তর এক বুলেটিনে সন্ধ্যায় জানিয়েছে, রবিবার নতুন করে আইডি হাসপাতাল সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আইডিতে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। চতুর্থ করোনা আক্রান্তের বাড়ির লোকজনের কয়েকজনকে এম আর বাঙ্গুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫২ জন ভর্তি আছেন। একদিনে ১৩১২ জনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। সবশুদ্ধ গৃহবন্দি আছেন ২২০৪৩ জন।
আরও যে দু’জনের ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে নাইসেডের প্রাথমিক পরীক্ষায় করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দু’জনের নমুনা চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।