বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের প্রভাব রুখতে চীনে গত জানুয়ারি মাস থেকে প্রায় সব কল-কারখানা বন্ধ। তার জেরে চীনের দূষণ একধাক্কায় অর্ধেকের বেশি কমে গিয়েছিল। এই অবস্থা নাসার উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছিল। এবার ভারতের ক্ষেত্রেও সেই চিত্রই ধরা পড়ল। দূষণমুক্ত বাতাসে শ্বাস নিল দেশবাসী। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিসংখ্যান বলছে, এদিন দেশের ১১৪টি ছোটো-বড় শহরের দূষণ চিত্র পরিমাপ করা হয়েছিল। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি, ৬৭টি শহরের দূষণ মাত্রা ছিল হয় সন্তোষজনক, নয় ভালো। রাজ্যের ক্ষেত্রে কলকাতার একাধিক জায়গা সহ ১৬টি জায়গার দূষণ মাত্রাই সন্তোষজনক বা ভালো ছিল। দেশের ক্ষেত্রে এদিন ৫৮টি শহরের দূষণ চিত্র সন্তোষজনক ছিল। আর ৯টি শহরের মাত্রা ছিল ভালো। অন্যদিকে রাজ্যের ক্ষেত্রে ১৬টির মধ্যে আটটি জায়গার দূষণ সন্তোষজনক এবং আটটি জায়গার মাত্রা ভালো ছিল। দেশের মধ্যে ৩৯টি শহরের দূষণ মাত্রা 'মডারেট' (কিছুটা খারাপ বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য) ছিল। যা শনিবারের তুলনায় অনেক ভালো বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। কারণ শনিবার গোটা দেশের মধ্যে ৪৯টি শহরের দূষণ চিত্র মডারেট ছিল। সন্তোষজনক ছিল ৫২টি শহর এবং ভালো ছিল মাত্র ২টি শহরে। এক্ষেত্রে শনিবারের তুলনায় রবিবার দূষণ চিত্র যে অনেকটাই ভালো ছিল, তা বলাই যায়। আগামী কয়েকদিন গাড়ি-বাস আরও বন্ধ হয়ে গেলে এই চিত্র যে আরও ভালো হবে, সেই ইঙ্গিতও মিলছে স্পষ্টই। সেক্ষেত্রে করোনার প্রকোপে মারাত্মক ক্ষতি হলেও, পাশাপাশি কিছুটা ভালো প্রভাব পরিবেশের উপরও পড়বে বলেই সকলে আশাবাদী। তবে এত ভালোর মধ্যেও এদিন দেশের ৮টি শহরের (বাহাদুরগড়, ভিওয়ান্ডি, বুলন্দশহর, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ, গ্রেটার নয়ডা, মুজাফ্ফরপুর, পালওয়াল) দূষণ চিত্র খারাপই ছিল।
কলকাতা সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় রবিবার বিকেল চারটেয় দূষণ চিত্র
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল— ৪৫ (ভালো)
যাদবপুর— ৪৪ (ভালো)
রবীন্দ্র সরোবর— ৩৮ (ভালো)
রবীন্দ্র ভারতী— ৬৪ (সন্তোষজনক)
শালবনি (পশ্চিম মেদিনীপুর)— ৩৪ (ভালো)
হলদিয়া— ৩৮ (ভালো)
বালিগঞ্জ (বিআইটিএম)— ৫৭ (সন্তোষজনক)
আসানসোল— ৮৬ (সন্তোষজনক)
শিলিগুড়ি— ৯৬ (সন্তোষজনক)
ফরাক্কা— ৫ (ভালো)
মেজিয়া (বাঁকুড়া)— ৩৫ (ভালো)
তারাতলা— ৪৪ (ভালো)
হাওড়া পদ্মপুকুর— ৫৪ (সন্তোষজনক)
ঘুসুড়ি — ৮৪ (সন্তোষজনক)
বেলুড়মঠ— ৫৪ (সন্তোষজনক)