দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বর্তমানে রাজ্যে পুরনো-নতুন মিলিয়ে ২০টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে শাসক দলের মনোভাবাপন্ন চিকিৎসক সংগঠন বলতে প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (পিডিএ) এবং প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। তাহলে কি মেডিক্যাল কলেজগুলির ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে টিএমসিপি’র তেমন অস্তিত্ব নেই? সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ সহ বেশ কয়েকটি পুরনো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রছাত্রী থাকলেও তাঁরা সেখানে খুব একটা সংগঠিতভাবে কাজ করেন না। রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রেও টিএমসিপি বহু মেডিক্যালেই দুর্বল অবস্থায়। বরাবরই বাম, অতিবাম, এসইউসিপন্থী এবং তথাকথিত নিরপেক্ষ (শুধুমাত্র চিকিৎসক ঐক্যের পক্ষে) ছাত্রছাত্রীদেরই ভিড় বেশি পঠনপাঠনের উৎকর্ষকেন্দ্র বলে পরিচিত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। টিএমসিপি’র ক্ষেত্র বা পরিধির দিক থেকে যা ছিল বরাবরের দুর্বল জায়গা। তাছাড়া ক্ষমতার কেন্দ্রে কারা থাকবে, পিডিএ, পিজেডিএ না টিএমসিপি—সেই ঠান্ডা লড়াই তো আছেই।
এরই মধ্যে যাদবপুরের মতো ‘এলিট’ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান এবং কলাবিভাগে চতুর্থ স্থান বিজেপি’র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র জোশ-উৎসাহ দুই-ই বাড়িয়েছে। অন্যদিকে এলিট প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রছাত্রীদের একাংশের মধ্যে এসএফআই-এর প্রভাব ক্ষমতায় দীর্ঘদিন না থাকার পরও মিলিয়ে যায়নি।
শাসনে থাকার বাড়তি সুবিধাটুকু (পরিকাঠামোর সমস্যা, নিরাপত্তার দাবি মেটানো ইত্যাদি) পৌঁছে দেওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, টিএমসিপি’র সর্বস্তরের ছাত্রসমাজের পাশে থাকার রাজনৈতিক বার্তা দেওয়াটা এবার মেডিক্যাল কলেজগুলির মতো ‘এলিট’ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরতে চাইছে টিএমসিপি। পাশাপাশি এইসব ‘এলিট’ জায়গাতেও নিজেদের তথা দলের মজবুত ক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছে তারা।
এ বিষয়ে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে টিএমসিপি ইউনিট খোলার আর্জি জানিয়ে আমায় চিঠি পাঠিয়েছেন। আমরা তা বিবেচনা করে ইউনিট খোলার কথা ভাবছি। এবিভিপি বা এসএফআইকে চাপে রাখার প্রশ্ন আসে না। প্রতিযোগী হলে তো আসবে চাপে রাখার প্রশ্ন! রাজ্যজুড়ে কোথায় আমাদের সংগঠন আর ওরা কোথায়! এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, টিএমসিপি’র প্রতি শুভেচ্ছা রইল। রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে। তবে আমাদের এতদিনকার রাজনৈতিক উপলব্ধি হল, তরুণ প্রজন্ম টিএমসিপিকে পছন্দ করে না। এবিভিপি’র রাজ্য সহ-সভাপতি ডাঃ ইন্দ্রনীল খান বলেন, আসলে উৎকৃষ্টমানের প্রতিষ্ঠানগুলিতে আমাদের প্রভাব বাড়ছে দেখে টিএমসিপি ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে।