কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় গিয়ে যেমন প্রশাসনিক বৈঠক করে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন, তেমনই মুখ্যসচিব সব জেলাশাসককে এবং কিছু দপ্তরের প্রধান সচিবদের নিয়ে বিভিন্ন কাজ ও প্রকল্প ধরে আলোচনা শুরু করলেন। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এর আগে যখন ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প দপ্তরের প্রধান সচিব ছিলেন, তখন তিনি এই ধরনের ‘সিনার্জি’ বৈঠক শুরু করেছিলেন। বৈঠকগুলির মাধ্যমে অনেক ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী উপকৃত হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি ‘সিনার্জি মিটিং অব চিফ সেক্রেটারি’ শুরু করেছেন। আগের ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দপ্তর, সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, ভূমিরাজস্ব, প্রাণিসম্পদ বিকাশ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প দপ্তরের সচিবরা।
বুধবার ছিল মুখ্যসচিবের দ্বিতীয় সিনার্জি ভিডিও কনফারেন্স। সময়সীমা ছিল ১২০ মিনিট। যেখানে আটটি দপ্তরের বিভিন্ন কাজ নিয়ে ধরে ধরে আলোচনা করা হয়। কোনও জায়গায় কোনও ভবন নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে কি না, থাকলে কেন রয়েছে, ইত্যাদি নিয়ে এদিন আলোচনা হয়। আলোচনা হয় পঞ্চায়েত দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়েও। এই আলোচনার পর সেই সব কাজের অগ্রগতি কী হল, তা নিয়ে সাতদিন পরে একটি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে।
নবান্ন চায়, রাজ্য সরকারের যেসব প্রকল্প চলছে, তা দ্রুত শেষ হোক। কোথাও যেন কোনও বাধা না আসে। এবারের বাজেটে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও আদিবাসীদের নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেই সব প্রকল্পের কাজ যাতে ঠিকমতো শুরু হয়, তা নিয়েও আলোচনা হয়। এমনকী হস্টেলে আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে পড়ুয়াদের ভর্তি করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা এদিনের বৈঠকে দেওয়া হয় জেলাশাসকদের। মুখ্যসচিবের এই সিনার্জি উদ্যোগে কাজের গতি বাড়বে এবং অনেক খুঁটিনাটি জটিলতার অবসান হয়ে যাবে বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষস্থানীয় অফিসাররা।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সে সব জেলাশাসককে দিল্লির অবস্থা নিয়েও সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, দিল্লির অশান্তির আগুন যাতে এরাজ্যে কোনওভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর বিশেষ নজর রাখা দরকার। জেলায় জেলায় পুলিসকেও সতর্ক করে দিতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় টহলদারিও বাড়াতে হবে। এছাড়া ধান সংগ্রহের কাজ ভালো মতো করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।