বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিদিকে বলো-র সাফল্যের উপরেই নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। সূত্রের দাবি, এই নতুন কর্মসূচির নাম ‘বাংলার গর্ব’। রাজ্যবাসীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব পর্যায়ে কোনও না কোনও সামাজিক সহায়তা প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর সেইসব প্রকল্পের প্রচারে ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। পিকের সমীক্ষায় তারই ইঙ্গিত মিলেছে। অনেক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য উপভোক্তার কাছে সরকারি প্রকল্পের সঠিক খবরটুকুই পৌঁছয়নি। পাশাপাশি বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলের প্রচারেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বাংলার এই উন্নয়নমুখী পরিচিতিকে অস্ত্র করেই নতুন কর্মসূচি বাংলার গর্ব। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে সকাল দশটায় এই কর্মসূচির সূচনা করবেন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। সেখানে শুধুমাত্র বিধায়ক ও সাংসদরা উপস্থিত থাকবেন। পরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বাকি জনপ্রতিনিধি থেকে, ব্লক স্তরের নেতা থেকে শাখা সংগঠনের বাছাই করা প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী।
রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট আসন্ন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আগামী বছরের মে মাসে রাজ্য বিধানসভার ভোট। গত লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করেই দলের জনসম্পর্কের খামতি টের পেয়েছিলেন মমতা। ‘মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যান, প্রয়োজনে দাওয়ায় গিয়ে বসুন’গোছের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। নিয়োগ করেছিলেন পিকের আইপ্যাক সংস্থাকে। তাদের পরামর্শ মেনে গত বছর জুলাইতে শুরু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। একদিকে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের বিহিত করা, অন্যদিকে দলের জনপ্রতিনিধিসহ নেতাদের উপর নজরদারি চালানো ছিল ওই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শাসক দল হওয়ার সুবাদে সংগঠনের একাংশের মধ্যে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছিল। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিও দলের জনবিচ্ছিন্নতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল আইপ্যাক। দল নিরপেক্ষ সম্পূর্ণ পেশাদারি কায়দায় বিভিন্ন স্তরে সমীক্ষা চালিয়েছে আইপ্যাক। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালনে দলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধি, কে কী ভূমিকা নিয়েছে নেপথ্যে থেকে তারও উপর নজর রেখেছে পিকের বাহিনী। দফায় দফায় ফিডব্যাক নিয়েছে, চলেছে সমীক্ষাও।