গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাস্তা তৈরির উপরে বিশেষ জোর দেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার এই সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ৯০ শতাংশ টাকা দিত। রাজ্যকে দিতে হত ১০ শতাংশ। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকার পরিমাণ কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়। ৪০ শতাংশ টাকা দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ও প্রতিটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নিজস্ব নাম দিয়েছেন। এই প্রকল্পের নাম রাখা হয় বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র আপত্তি আছে।
এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য, গ্রামীণ এলাকায় যেখানে জনবসতি আছে, অথচ রাস্তা নেই, সেখানে রাস্তা তৈরি করা। প্রতিটি গ্রামকে রাস্তার মাধ্যমে সংযুক্ত করাই এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। কোথাও মোরামের রাস্তা, কোথাও পিচের রাস্তা তৈরি করা হয়। আবার গ্রামের মধ্যে বড় রাস্তাও তৈরি হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ২০১১ সাল থেকে এই প্রকল্পে রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় ২৪ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্যের অন্যতম দিক। এখন আর মাত্র ৯০টি বসতি বা গ্রামকে রাস্তার মাধ্যমে সংযুক্ত করার কাজ বাকি রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। ১৯ বছরে রাজ্যে এই প্রকল্পে ৩৩ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে। বর্তমান আর্থিক বছরে রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬০০ কিমি।
গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ এই মার্চ মাসেই শেষ হয়ে যাবে। এরপরে শুরু হবে গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই প্রকল্পে দু’হাজার কিমি রাস্তা তৈরির বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক কাজের প্রশংসা করে ইনসেন্টিভ দেওয়ায় খুশি রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। ওই দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা তৈরিতে জোর দিয়েছি। সর্বত্র আমরা রাস্তা তৈরি করেছি। আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়েই ৫৭ কোটি টাকার বেশি ইনসেন্টিভ দিয়েছে। আর সাত-আটটি রাজ্য পেয়েছে। গত বছরও আমরা ৪৯ কোটি টাকা পেয়েছি। এই ইনসেন্টিভের টাকায় রাস্তা মেরামতির উপরে জোর দেব। আমাদের সরকার গ্রামের রাস্তার ভোল বদলে দিয়েছে।