পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র ঋষভ সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এনে দেয় একাধিক প্রশ্ন। গাড়ির চালকদের সচেতনতায় বড়সড় ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। ফের এই ধরনের ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন। পুলকারের উপর শুরু হয়েছে নজরদারি। তবে শুধুমাত্র পুলকার নয়, পুলিসের গাড়ির ক্ষেত্রেও যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়, তার জন্য নয়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিসের হেড কোয়ার্টার থেকে প্রতিটি জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। জেলায় পুলিসের কতগুলি গাড়ি চলে, কতজন চালক রয়েছেন, তার তালিকা তৈরি হয়েছে। চালকদের আরও সচেতন করতে শুরু হয়েছে ক্লাস।
মার্চ মাস থেকে লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে চালকদের। জানা গিয়েছে, ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। তাতে অবজেকটিভ প্রশ্ন থাকবে। বেশিরভাগ প্রশ্নই হবে ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কিত। একটি প্রশ্নের চারটি করে উত্তর থাকবে। টিক মার্ক দিয়ে উত্তর দিতে হবে চালকদের। প্রশ্নপত্রের ধরন সম্পর্কে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সেখানে ট্রাফিক সঙ্কেতের ছবি দেওয়া থাকবে। সেই ছবির সাপেক্ষে প্রশ্নের নীচে সঠিক ও ভুল উত্তরও থাকবে। যেটি সঠিক উত্তর, তার পাশে টিক মার্ক দিতে হবে পুলিসের গাড়ির চালকদের।
এই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল দেখে চালকদের মূল্যায়ন হবে। লাল, হলুদ, সবুজ আলো ছাড়াও রাস্তায় একাধিক সাঙ্কেতিক চিহ্ন থাকে। সেগুলি সম্পর্কে খোদ পুলিসের গাড়ির চালকরাই কতটা ওয়াকিবহাল, সেটা বুঝে নিতে চাইছেন ট্রাফিকের আধিকারিকরা। আইজি ট্রাফিক তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, ‘পুলিসের গাড়ির চালকদের ক্লাস নেওয়া, সচেতনতা বৃদ্ধি, ওয়ার্কশপের একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলকার চালকদের ক্ষেত্রেও হবে। তা ধারাবাহিকভাবে চলবে।’ লিখিত পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে চালকদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ হবে। সেখানে ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। ট্রাফিক হেড কোয়ার্টার থেকেও আধিকারিকরা জেলায় যাবেন। হাতে-কলমে চালকদের শেখানো হবে। রাস্তায় যাতে সচেতনভাবে চালকরা গাড়ি চালান, সেদিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ট্রাফিক আইন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে গাড়ির চালকদের আরও ওয়াকিবহাল করতেই এই উদ্যোগ। জানা গিয়েছে, থিয়রি ও প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে গাড়ির চালকদের। ওয়ার্কশপের মাধ্যমে চালকরা কতটা শিখলেন, সেটাও পরবর্তী পর্যায়ে ফের দেখা হবে।
প্রশ্ন হল, পুলিসের গাড়ির ক্ষেত্রেই এই ব্যবস্থা কেন? ট্রাফিকের যুক্তি, অন্যান্য পেশার থেকে পুলিসের গাড়ি বেশি ব্যবহৃত হয়। দিন-রাত চলাচল করে। অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পুলিসের গাড়ির চালক রাফ ড্রাইভিংও করে থাকেন। কিন্তু কোনওভাবে অসাবধানতাবশত যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, তারজন্যই নয়া পদক্ষেপ।