পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যের ১০২টি পুরসভায় ভোট হতে চলেছে আগামী এপ্রিল থেকে। গত বছর মে মাসে লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বদল ঘটেছে। পেশাদার ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সৌজন্যে একদিকে যেমন জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হয়েছিল, তেমনই দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়। পুর প্রতিনিধিদের সম্পর্কে খোঁজখবর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে তাঁর জনপ্রিয়তা যাচাই করা হয়েছে। সবটাই করেছে, পেশাদার সংস্থা আইপ্যাক। তাদের কর্মীবাহিনী বুথ স্তরে সমীক্ষা চালিয়েছে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। এবারের প্রার্থী বাছাইতে ওই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের মতে, শতাধিক পুরসভায় ভোট। সবক্ষেত্রই কিছু অদল বদল হবে। সংরক্ষণের গেরোয় বাদ পড়বেন কেউ কেউ। তবে, তাদের সম্পর্কে রিপোর্ট ভালো থাকলে অন্যত্র টিকিট দেওয়া হতে পারে। কোথাও একাধিক নাম রয়েছে। তালিকা তৈরির পর সেইসব বিরোধ মেটানোর জন্য স্থানীয় স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তবে, দলের জেলা পর্যবেক্ষককে নিয়েই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। ওই সুত্রের দাবি, জেলা থেকে তৃণমূল ভবনে এসে টিকিট নিয়ে দরবার করার ঝোঁক বন্ধ করতেই এই কৌশল নিয়েছে দল।
আগামী ২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং দলের পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং ডেকেছেন। পিকের দেওয়া পুরসভাভিত্তিক রিপোর্টের ভিত্তিতে নেতা-জনপ্রতিনিধিদের কাজের মূল্যায়ণ করবেন দলনেত্রী। তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, সেখানেই তিনি যেমন দলের রাজনৈতিক অবস্থান ও কর্মসূচি ঘোষণা করবেন, তেমনই বুঝিয়ে দেবেন কীসের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হয়েছে। অর্থাৎ প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করতে আগ্রহী তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই বরাবরের মতো ধরাধরি করে টিকিট ম্যানেজ করা এবার বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন দলের একাংশ। দল ও সংগঠনের প্রতি আনুগত্য, দলের কর্মী ও সাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, এই তিনটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট টিকিট প্রার্থী সম্পর্কে পিকের রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সেই রিপোর্ট কার্ডই প্রার্থী পদ বিবেচনায় বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের পুরসভাগুলির নির্বাচনী সংগঠন, প্রার্থী তালিকা সংক্রান্ত সামগ্রিক কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এঁদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই জেলা নেতৃত্বকে চলতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরদিনই কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।