বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তর কলকাতার নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা অতীন ঘোষ বললেন, দলের তরফে বৈঠক ডাকা হয়েছে। কাউন্সিলারদের তা নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী কারণে, তা বলতে পারব না। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবাশিস কুমার বললেন, উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতাকে দু’ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার বিধায়ক, কাউন্সিলার, যুব-মাদার সভাপতি, শাখা সংগঠনের নেতা মিলিয়ে মোট ২৫৩ জন উপস্থিত থাকবে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংরক্ষণের কোপে পড়া কাউন্সিলারদের অন্য ওয়ার্ডে সরানো নিয়ে চরম টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। পুরভোটে দলের তরফে লড়ার টিকিট কে পাবেন আর কে পাবেন না, তা নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলাররা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যেও রয়েছেন। এমনকী, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তদ্বিরও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ইতিমধ্যেই প্রাথমিকভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে নিয়েছেন দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কে বাদ পড়ছেন বা কে রয়ে যাচ্ছেন, তা কার্যত স্থির। সেক্ষেত্রে পর পর যে দলীয় নেতৃত্বের তরফে বড় বড় বৈঠক হতে চলেছে, সেখান থেকেই এই বিষয়গুলি পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। যদিও শাসকদলকে ভাবাচ্ছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কারণ, জেলায় শুধু নয়, শহরে বেশ কিছু অংশে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটায় বিদ্ধ শাসকদল। সেগুলি সম্পর্কেও দলীয় নেতৃত্ব আগামী বৈঠকগুলিতে কঠোর বার্তা দেবেই বলেই খবর।
পুরভোটের প্রস্তুতির জন্য আগামী ২ মার্চ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের সব পুরসভার দলীয় কাউন্সিলার, পদাধিকারীদের বৈঠকে ডাকলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি সব কাউন্সিলার, চেয়ারম্যান সম্পর্কে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের মূল্যায়ন রিপোর্ট তুলে ধরবেন বলেই আপাতত খবর। একইসঙ্গে, সেখানেও তিনি টিকিট বণ্টন প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন। পাশাপাশি, ৩ মার্চ তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি কলকাতার ১২২ জন তৃণমূল কাউন্সিলারকে নিয়ে বৈঠক করবেন (১২৪ জনের মধ্যে দু’জন মারা গিয়েছেন)। ডাকা হয়েছে দলের ব্লক সভাপতিদেরও। দলের তরফে ইতিমধ্যেই কাউন্সিলার এবং নেতা-নেত্রীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, পুরভোট করতে হবে শান্তিপূর্ণ। কোনওরকম হিংসা চলবে না। পুলিসও নিরপেক্ষ থাকবে। দলীয় সূত্রে খবর, গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে শহরে তৃণমূল ৫২টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে। সেগুলি যাতে পুনরুদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের আরও বেশি করে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া দলীয় নেতৃত্বের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।