বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ক্লাসে মোবাইল সহ ধরাও পড়ে অনেকে। কিন্তু সোমবার যে ঘটনা ঘটল, তা এক প্রকার নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। করণদিঘি হাইস্কুল এবং তিতপুকুর হাইস্কুলে সিট পড়া তিন ছাত্র মোবাইল বের করে অঙ্কের প্রশ্নের ছবি তুলে ফেলেছিল। কিন্তু যে মুহূর্তে সেটি হোয়াটস অ্যাপে পাঠাতে যাবে, তখনই ক্লাসে থাকা শিক্ষকরা তাদের ধরে ফেলে। এরপরই সেই সব পড়ুয়ার খাতা, মোবাইল এবং প্রশ্নপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পর্ষদের উত্তর দিনাজপুর শাখার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির একটি স্কুলেও মোবাইল সহ এক পড়ুয়াকে ধরা হয়েছে। তার পরীক্ষাও বাতিল করা হয়।
এই ঘটনা কিন্তু একাধিক প্রশ্ন সামনে এনে দিল। পর্ষদ মোবাইল নিয়ে ঢোকার প্রতি নিষেধজ্ঞা জারি করেছে। ধরা পড়লে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাও পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কেন এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে? প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দিয়ে কোন স্বার্থই বা পূর্ণ হত সেই পড়ুয়াদের? এছাড়াও ক্লাসে ছাত্ররা মোবাইল নিয়ে ঢুকছে কি না, তার নজরদারি করার দায়িত্ব শিক্ষকদের উপর। তাহলে কী করে তাঁদের নজর এড়িয়ে ছাত্ররা এমন কাজ করতে যাচ্ছিল? শিক্ষকরা কি ঠিকমতো পরীক্ষা না করেই ছাত্রদের ক্লাসে প্রবেশ করতে দিয়েছিলেন?
এদিকে, পরীক্ষায় টোকাটুকি প্রসঙ্গ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বারবার সতর্ক করার পরেও নকলের অভিযোগ আসছে। এবার কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। যে সব পরীক্ষার্থী নকল করতে গিয়ে ধরা পড়বে, তাদের তিন থেকে চার বছর আর পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, এদিনের পরীক্ষাতেও একাধিক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পরীক্ষা দিয়েছে তারা। কয়েকজন পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়। তাদেরও হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অঙ্কের প্রশ্ন নিয়ে সেরকম বড় অভিযোগ না থাকলেও, কয়েকটি প্রশ্নের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গণিতের শিক্ষক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ১৩ নম্বর প্রশ্নে যে দু’টি অঙ্ক দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি সব মানের ছাত্রদের উপযোগী নয়।