পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শহর থেকে শীতের অনুভূতি চলে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ভোরের দিকে যেটুকু ঠান্ডা পড়ছে, তাকে শীত বলতে নারাজ হাওয়া অফিস। জেলাতেও সরকারিভাবে শীত বিদায় নিয়েছে। এদিকে চলতি মরশুমে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কিছু দিন অন্তরই বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তা নতুন করে অক্সিজেন জোগায় শীতকে। যেখানে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়কেই শীতের জন্য আদর্শ হিসেবে ধরে নেয় হাওয়া অফিস, সেখানে দফায় দফায় বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছিল ঠান্ডার অনুভূতি। সোমবার থেকে হাল্কা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কয়েকটি জায়গায় সামান্য বৃষ্টিও হয় অল্প সময়ের জন্য। তবে মেঘলা আকাশ এদিন সর্বোচ্চ পারদ নামিয়ে দিয়েছিল কিছুটা। যেখানে রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে সোমবার তা নামে ২৭.১ ডিগ্রিতে। তবে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও হেরফের হয়নি। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ, মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ সোমবারের তুলনায় বাড়বে। বেশিরভাগ জায়গাতেই হাল্কা বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও মাঝারি বৃষ্টিও হবে। আগামীকাল, বুধবারও সকালের দিকে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তুলনায় বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। তা হবে মূলত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। তবে আজ দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আজ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির যোগ রয়েছে। উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, মেঘলা আকাশ থাকার কারণে রাতের তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না। বরং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকতে পারে। তবে বৃষ্টি পড়লে নতুন করে ঠান্ডা পড়ার সুযোগ নেই।
কেন বৃষ্টি? আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প উঠে আসছে স্থলভূমিতে। ওই ঘূর্ণাবর্ত জলীয় বাষ্প টেনে নেওয়ায়, দক্ষিণবঙ্গে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পূবালি বাতাস এবং উপর থেকে আসা পশ্চিমী বায়ুর সঙ্গে সংঘাতেই আঞ্চলিক মেঘ সঞ্চারিত হয়েছে এবং বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।