পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আগামী এপ্রিলে রাজ্যসভার ভোট। বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও শাসক ও বিরোধী শিবিরে ইতিমধ্যেই ভোটকে ঘিরে হিসেব নিকেশ শুরু হয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় মোট ২৯৪ সদস্য হলেও বিজেপির ছয় সদস্য এই ভোটে অংশ নেবে না, সেটাই স্বাভাবিক। এছাড়া ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়কের প্রয়াণে একটি আসন শূন্য। অর্থাৎ ২৯৪ থেকে সাতটি ভোট বাদ যেতে পারে। সেই সুবাদে পাঁচটি আসনে প্রথম পছন্দের ভোট কমে যেতে পারে। তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা (বাম ও কংগ্রেসের দলছুটসহ)২৩৪। যদি ৪৮টি করে প্রথম পছন্দের ভোট ন্যূনতম প্রয়োজন হয়, তাহলে নিজের প্রার্থীদের মোট ১৯২টি ভোট দেওয়ার পর ৪২টি ভোট অতিরিক্ত থাকবে তৃণমূলের হাতে। কংগ্রেস ও বামেদের দলছুট বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত ২৪জন করে বিধায়ক রয়েছেন দুই শিবিরে। ফলে মোট ৪৮টি ভোট একত্রিত করতে পারলে তাদের পক্ষে পঞ্চম প্রার্থীকে দিল্লি পাঠানো সম্ভব।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, পঞ্চম আসনে বিরোধীরা কাকে প্রার্থী করে, তার উপর নির্ভর করছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান। কেননা, মাত্র ৬টি ভোট জোগাড় করতে পারলে পঞ্চম আসনও ঘাস ফুলের দখল পাওয়া সম্ভব। কংগ্রেস বা বামেদের ভোট কাঁটায় কাঁটায় ৪৮। অভিজ্ঞতা বলছে, রাজ্যসভা ভোটের আসরে তৃণমূল তার স্বভাবসিদ্ধ আগ্রাসী অবস্থান নিলে কংগ্রেস ও বাম শিবিরের ভোট ভাঙিয়ে ৬ ভোটের ঘাটতি মেটানা মোটেই অসম্ভব নয়। সুত্রের মতে, এক প্রাক্তন বাম সাংসদের জন্য তদ্বিরের চেষ্টা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে তেমনই প্রস্তাব দিতে পারে সিপিএম। উল্টোদিকে বিধানভবনে হত্যে দিচ্ছেন একাধিক ব্যক্তি। দিল্লিতে যাঁদের খুঁটির জোর রয়েছে। তাদের মাধ্যমে নানা ফন্দি ফিকির চলছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে পঞ্চম আসনের বিষয়ে বাড়তি আগ্রহ থাকা তৃণমূলের পক্ষে স্বাভাবিক। জোটের প্রার্থী সম্পর্কে মমতার আপত্তি থাকলে তিনি অনায়াসেই পঞ্চম নাম নিয়ে আসরে নামতে পারেন। কংগ্রেসের একাংশের দাবি, একমাত্র প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করলেই তৃণমূলের আগ্রাসন থেকে রেহাই মিলতে পারে। এছাড়া ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে। উটকো কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করে ঝুঁকির লড়াই করার থেকে সোনিয়া তনয়ের হয়ে আসরে নামা রাজনৈতিকভাবে কংগ্রেসের পক্ষে যথেষ্ট মর্যাদার। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ রাজ্য কংগ্রেসের কোনও নেতার পক্ষেই গান্ধী পরিবারের প্রতিনিধির নাম নিয়ে আপত্তি তোলা সম্ভব নয়। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় অটল মমতাও সেক্ষত্রে সায় দিতে পারেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এই হিসেব কষেই হাইকমান্ডের কাছে প্রিয়াঙ্কার নাম ভাসাতে তৎপরতা শুরু করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের একটি অংশ।