বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, গতবারের পর এ বছরও বারবার একই ধরনের ঘটনায় একটা বিষয় স্পষ্ট, এভাবে রাজ্য প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলার একটা চক্রান্ত চলছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী থাকে। তাই কর্মকাণ্ডও বিরাট। সেই কারণেই, নিরাপত্তায় ফাঁকফোকর থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেকেই বলছেন, যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র বাইরে গিয়েছে, সেভাবে উত্তর আসতেও অসুবিধা নেই। আবার, বাইরের লোক প্রশ্নপত্র একবার হাতে পেয়ে গেলে মোবাইল-হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াই কাগজের টুকরো বা অন্য পুরনো পদ্ধতিতে উত্তর পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে সরবরাহ করতে পারে। কারণ, ঢিলেঢালা নজরদারি রয়েছে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই কুকীর্তির মুখ্য উদ্দেশ্য পরীক্ষার বৈতরণী পেরনো নয়। সরকার তথা পর্ষদকে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়াই এর নেপথ্য কারণ। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থী যদি প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠায় উত্তর পাওয়ার আশায়, তাহলে সেটা ভাইরাল হয়ে যাওয়ার কথা নয়। আসলে ভাইরাল করার উদ্দেশেই এটা করা হচ্ছে। অনেকেই একটা মজাও পেয়ে গিয়েছে বলে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মত। তাই এটা কারা করছে, সেই চক্রের খোঁজ শুরু করেছে পুলিসও।
এদিন খাস কলকাতার রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা এক ছাত্রীকে মোবাইল সহ ধরেন পরিদর্শকরা। তার উত্তরপত্র এবং মোবাইল সিল করে সল্টলেকে পর্ষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিবেদিতা ভবনে জমা দেওয়া হয়। একই ঘটনা ঘটে হাওড়ার নতিবপুর হাইস্কুল এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খাজরা সতীশচন্দ্র মেমোরিয়াল হাইস্কুলে। সেখানেও পরিদর্শকরা পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেন। হাওড়ার পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র এবং মোবাইল ফোনও নিবেদিতা ভবনেই জমা দেওয়া হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পরীক্ষার্থীর খাতা এবং মোবাইল ফোন ওই জেলার আঞ্চলিক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। বলাই বাহুল্য, তাদের পরীক্ষা বাতিল করে আরএ করা হয়েছে।
এই ঘটনাগুলি থেকেই স্পষ্ট, এত প্রচার সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের একাংশ মরিয়া হয়ে উঠেছে। পরীক্ষা বাতিল, আরএ করে দেওয়া এমনকী গ্রেপ্তারি—কোনও ভয় দেখিয়েই তাদের দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও পর পর দু’দিন প্রশ্নপত্র বাইরে আসা ঠেকাতে পারাকে সাফল্য হিসেবেই দেখছেন পর্ষদের শীর্ষ আধিকারিকরা। এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন। হাজরার নিউ হরাইজন স্কুলে গিয়ে কবে কোন পরীক্ষা জানতে চান। ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করেন, যেগুলি হয়ে গিয়েছে, কেমন দিয়েছ? অঙ্ক পরীক্ষা কবে? ছাত্রীরাও উৎসাহের সঙ্গে তাঁকে প্রণাম করতে করতে উত্তর দিয়েছে।