পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিকেলে এই বৈঠকের পর এদিন কোনও আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতি অবশ্য জারি হয়নি রাজভবনের তরফে। তবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এদিনের আলোচনা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা সহ সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে আমি আইন ও সংবিধান মেনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগতে চাই। অহেতুক সংঘাত আমি কখনওই পছন্দ করি না। বাংলার মানুষের স্বার্থে সরকার ও রাজ্যপাল একযোগে কাজ করুক—এটাই আমি চাই। আশা করব, রাজ্য সরকারও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আগামীদিনে যাবতীয় পদক্ষেপ করবে। তবে এনিয়ে রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি শিক্ষামন্ত্রী।
সূত্রের খবর, এদিন লাল গোলাপের তোড়া দিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন পার্থবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মতো এদিনও অন্য কোনও তৃতীয় ব্যক্তি হাজির ছিলেন না ধনকার-পার্থর আলোচনার সময়। বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষা পরিস্থিতির সামগ্রিক ছবি নিয়ে নিজের অসন্তোষ ব্যক্ত করেন ধনকার। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি বদলের মাধ্যমে যেভাবে আচার্য হিসেবে তাঁর ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কী কারণে তাঁর বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে বলা হয়েছে, তা নিয়েও উষ্মা চেপে রাখেননি ধনকার। সমাবর্তনে তাঁকে আমন্ত্রণ না করা নিয়ে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আইন ও সংবিধান মেনেই তিনি শো-কজ করেছেন বলে পার্থবাবুকে সাফ জানান। স্রেফ ভুল বোঝাবুঝির কারণেই যে এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানিয়ে সেই শো-কজের জবাব তাঁকে রাজ্য সরকার যথা সময়ে পাঠিয়ে দেবে বলে শিক্ষামন্ত্রী পাল্টা আশ্বস্ত করেন। রাজ্যের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়েও দু’জনের মধ্যে কথা হয়। কথা হয় রাজভবনে আটকে থাকা এসসি-এসটি কমিশন এবং গণপিটুনি বিল দুটির ভবিষ্যৎ নিয়েও।