নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইন্দো-বাংলা জলসীমান্তে পর পর বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এমন অবস্থায় কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে বসলেন দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্তারা। কীভাবে এই ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়ানো যায়, অনুপ্রবেশ এবং বেআইনি জিনিসপত্র সীমান্ত পারাপার রোখার ক্ষেত্রে আর কী কী কড়া পদক্ষেপ দু’তরফেই প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বিএসএ এবং বিজিবি’র কর্তাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার বিএসএফ সেক্টর কৃষ্ণনগর এবং বিজিবি কুষ্ঠিয়া সেক্টরের মধ্যে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। নদীয়ার ৫৪ নম্বর বিএসএফের ব্যাটালিয়নের অফিসে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের তরফে সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি প্রমোদকুমার আনন্দ, অপারেশন সেকশনের কমান্ডান্ট সুদীপ কুমার সহ বেশ কয়েকজন কমান্ডান্ট। অন্যদিকে, বিজিবির তরফে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সেক্টরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জিয়া সাদাত খান, কমান্ডিং অফিসার ডিরেক্টর কামরুল আহসান সহ বেশ কয়েকজন কমান্ডিং অফিসার।
বৈঠকের পরে বিএসএফের এক কর্তা বলেন, সীমান্তের দু’দিকেই পরিস্থিতি সবসময় শান্ত রাখতে হবে। কোনওভাবে সীমান্ত যাতে উত্তপ্ত না হতে পারে। জল সীমান্তে সাম্প্রতিককালে সবথেকে বড় ঘটনাটি ঘটেছে বিজিবি’র গুলিতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু। সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘিরে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পরিস্থিতিরও অবনতি হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সীমান্ত। তারপর থেকে একাধিক কমান্ডার পদমর্যাদার বৈঠক হয়েছে। তাতে দু’দেশের স্থল ও জলসীমান্তে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার উপরেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।