পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তারপর সরকারি এই সিদ্ধান্তকে গতি দিতে ১৯৭৯, ২৫ জুলাই প্রশাসনে বাংলা ভাষার সার্বিক ব্যবহার নিয়ে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০০ সালে তৎকালীন মুখ্যসচিব মণীশ গুপ্ত নতুন করে মহাকরণ থেকে পঞ্চায়েতের সর্বস্তরে বাংলাকে আবশ্যক করার আদেশনামা জারি করেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজে তাঁর প্রশাসনে বাংলা ভাষার সফল প্রয়োগের বিষয়ে উদ্যোগী হলেও আদপে ব্যর্থ হন। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি সংগঠন স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের তরফেও নেত্রীকে লিখিতভাবে এই আর্জি জানানো হয়েছিল। সংগঠনের অন্যতম প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বলেন, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি এবং বাঙালির মননে রয়েছে বাংলা ভাষা। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির আত্মবলিদান আজ গোটা বিশ্ব জানে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা লিখিতভাবে আবেদন করেছিলাম, রাজ্য সরকারি অফিসে বাংলা ভাষার সার্বিক প্রয়োগ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমরা আশাবাদী বাংলার জননেত্রী ‘মাতৃভাষা’র উপযুক্ত মর্যাদা দেবেন।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য মন্ত্রিসভার এক প্রভাবশালী সদস্য নিশানা করেছেন আমলাদের একাংশকে। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় ভাষার স্বীকৃতি প্রদানে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হিন্দি, উর্দু, সাঁওতালি, অলচিকি, নেপালি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে মান্যতা দিয়েছেন তিনি। সরকারি পরীক্ষায় এই ধরনের একাধিক ভাষায় দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থার সূচনাও মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। পাশাপাশি প্রায় লুপ্ত হতে বসা সংস্কৃত ভাষাকে ফিরিয়ে আনতে রাজ্যে আস্ত একটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণবঙ্গের ওই পোড় খাওয়া তৃণমূল নেতার দাবি, ৫৫ বছর আগের প্রেক্ষিতের সঙ্গে এখনকার সময়কে মেলানো উচিত হবে না। বর্তমানে রাজ্য প্রশাসনের সবথেকে শীর্ষ আমলা অর্থাৎ ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) ক্যাডারের অধিকাংশই অবাঙালি। মন্ত্রীর অভিযোগ, ওই আমলাদের কারসাজিই প্রশাসনে বাংলা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে মা-মাটি-মানুষের সরকার বাংলা ভাষার সফল প্রয়োগের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।