কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ভোট আগামী ১২ এপ্রিল করতে চাইছে নবান্ন। আর জেলার পুরসভাগুলির নির্বাচন ২৬ বা ২৭ এপ্রিল করার পক্ষপাতী তারা। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এনিয়ে কোনও ঘোষণা এখনও করেনি। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে রাজনৈতিক মহল প্রায় নিশ্চিত যে নামে পরামর্শ বা সুপারিশ হলেও রাজ্য সরকারের নির্ধারিত দিনগুলিতেই পুরভোট করাবে কমিশন। এটা ধরে নিয়েই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তাদের অবস্থান এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে শুরু করেছে। বাম ও কংগ্রেস এবার পুরভোটে জোট করেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই ভোট নিয়ে তাদের বক্তব্যেও প্রায় এক সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা সিপিএমের শীর্ষস্থানীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, পুরভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তবে আমরা সর্বাগ্রে চাইছি, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। এই কমিশনের নিয়ন্ত্রণে বিগত পুর এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে ভোট লুট হয়েছে তা গোটা দেশের কাছে নজির হয়ে রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে শাসক দল মানুষকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ করে দিক এবার। সেই সঙ্গে আমরা চাই, রাজ্যে পুরভোট একদিনেই হোক। একাধিক দিনে ভোট হলে গুণ্ডা-মস্তানদের এলাকা বদল করার সুযোগ দেওয়া হবে। একদিনে ভোট করানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাজ্যে রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত। সেই সঙ্গে অবশ্যই সব দলকে উপযুক্ত প্রচারের সুযোগ দেওয়াও দরকার কমিশনের। আমরা কমিশনের কাছে সেই মর্মে দরবারও করব। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগামী এক মাস সেভাবে কোনও প্রচার চালানো সম্ভব নয়। এই বিষয়টি সরকার ও কমিশন উভয়েই ভালোমতো জানে। তা সত্ত্বেও পুর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে তা সত্যি হলে বুঝতে হবে, এর পিছনে শাসকপক্ষের গভীর পরিকল্পনা রয়েছে। চুপিসাড়ে মানুষের অজান্তে ভোট করানোর এই ধরনের পরিকল্পনা আমরা কোনওভাবেই মানব না।
এদিকে, পুরভোট নিয়ে বাম ও কংগ্রেস শিবিরে প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় বামফ্রন্টের বৈঠক বসে আলিমুদ্দিনে। সেখানে ফ্রন্টের বাইরে থাকা সহযোগী দল এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে কথা হয়। আপাতত পুরসভাওয়াড়ি এই রফার বিষয়টি জেলা নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এই বৈঠকে। কয়েকটি জেলায় আলোচনা শুরু হলেও বাকিগুলি নির্দিষ্ট নিদান পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল বলে ফ্রন্টের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইভাবে কংগ্রেসও আসন এবং প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জেলা নেতৃত্বকেই দায়িত্ব দিয়েছে। তবে আলিমুদ্দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বামফ্রন্টগতভাবেই আলোচনা করা হবে কংগ্রেসের সঙ্গে। যদিও কলকাতায় ইতিমধ্যে দু-একটি ফ্রন্ট শরিক আলাদা করে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলেছে।