বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এই সংস্থাকে বিশ্বের ৫৪টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রের কোনও প্রভাব নেই তাদের উপর। এমনই দাবি অ্যাচিভমেন্টস ফোরামের। সেইরকম একটি সংস্থা এই প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়ায় স্বভাবতই বেশ খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা থেকে শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা। কারণ এর আগে এমন সম্মান পায়নি এখানকার কোনও প্রতিষ্ঠান। শিক্ষামন্ত্রীও এই খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটি একটি অভাবনীয় সাফল্য। রাজ্যের এই শিক্ষক শিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন স্বীকৃতি ভাবা যায় না। শিক্ষকতা যে এখনও একটি উন্নত পেশা, তা এই সম্মানই বলে দিচ্ছে।
কীভাবে বাছাই প্রক্রিয়া হল? জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া, সংবাদমাধ্যম, বিশেষজ্ঞদের থেকেও তথ্য নেওয়া হয়। বিভিন্ন সম্মেলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কার কী অভিমত, তাও সংগৃহীত হয়। এরপর এসবের উপর বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। গোটা বিশ্বে সব মিলিয়ে এমন ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ১৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি উপস্থাপনা (প্রেজেন্টেশন) দিতে হবে সংস্থার সামনে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অ্যাচিভমেন্টস ফোরামের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সব নথিও পরীক্ষা করে গিয়েছে। তাদের পরীক্ষা ব্যবস্থা কেমন, কী কী নতুনত্ব কোর্স আছে, এত কলেজ কীভাবে পরিচালনা করা হয় ইত্যাদি বিষয়ের উপর খোঁজখবর করে তারা। সব কিছু বিবেচনা করেই চূড়ান্ত তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে। চমক আরও রয়েছে। সেটা হল দেশের আর কোনও শিক্ষক শিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় এই সায়েন্স এবং এডুকেশন বিভাগে জায়গা পায়নি। যে পুরস্কার দেওয়া হবে, তাতে একটি ট্রফি থাকবে। সেটি অমূল্য ধাতু দিয়ে তৈরি। তাছাড়া একটি লাইসেন্সও দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে এই পুরস্কারকে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের প্রচার করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে, যাতে গোটা বিশ্ব তা দেখতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এই চিঠি আসার পরই সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য। কারণ, নয়া বিধি অনুযায়ী বিদেশে যেতে গেলে উপাচার্যদের মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। এই খবর শুনে শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, বছরখানেক আগে কন্যাশ্রী বিশ্ব সম্মান পেয়েছিল। মুখ উজ্জ্বল হয়েছিল বাংলার। এবার বিএড বিশ্ববিদ্যালয় সেই রকমই স্বীকৃতি পেতে চলেছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে কতটা এগিয়ে বাংলা।