পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুলের পরিদর্শকরা দেখেন, এক পরীক্ষার্থী মোবাইলে সেটির ভিডিও করার চেষ্টা করছে। তাকে বাধা দিতে গেলে সে তাঁদের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীরা তাকে একটি ঘরে আটক করে রাখেন। পরে থানা থেকে পুলিস এসে তাকে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের করে। কিন্তু অভিভাবকরা এই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। র্যাফ এনে তাঁদের কোনওমতে নিরস্ত করে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষাকেন্দ্রের কেউ প্রশ্নপত্রের ছবি তুলবে, তাদের তো বটেই, যে যে নম্বরে সেটি পাঠানো হবে, তাদের সবার বিরুদ্ধেই পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসা নিয়ে পর্ষদ এতটাই উদ্বিগ্ন যে, পরীক্ষা শুরুর দ্বিতীয় দিনে ফের রেজোলিউশন নিয়ে তা প্রকাশ করতে বাধ্য হল তারা।
কিন্তু এত কড়াকড়ির পরেও কীভাবে দিনের পর দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে এতজন ঢুকে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিনও সংবাদমাধ্যমে বলেন, দোষীদের খুঁজে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। এই ঘটনায় কেউই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নেই। তবে, ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, পর্ষদ কেন্দ্রপিছু পাঁচজন শিক্ষক-আধিকারিককে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ অন্তর্ঘাত করলে কীভাবে ধরা হবে? যে পরিদর্শকরা মোবাইল ফোন আনার ব্যাপারে অনুমতিপ্রাপ্ত নন, তাঁরা সেটা মেনে চলছেন কি না, সেটাও কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে? পর্ষদ অবশ্য বলছে, যে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী মোবাইল সহ ধরা পড়বেন বা অসদুপায় অবলম্বন করবেন, তাঁদের আর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে বা পরীক্ষার কোনও দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্তে বিশেষ (ডিসিপ্লিনারি) কমিটি গঠন করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এদিন ভবানীপুর গার্লস এবং বেলতলা গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’টি কেন্দ্রেই পরীক্ষার্থীরা তাঁকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে। অনেকে প্রণাম করে। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলে শুভেচ্ছা জানান। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করেন। পরীক্ষা পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, শিক্ষকদের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত বাক্যালাপ সারেন তিনি।