গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জীবদ্দশায় তাপস পালের পাশে ছিলেন না। এখন চোখের জল ফেলছেন স্রেফ রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। এমনই মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর দাবি, ভুবনেশ্বরে সিবিআই হেফাজতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন তাপস পালও। দুজনে বন্দিদশায় অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সুদীপকে দেখতে গেলেও তাপসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। এই দৃষ্টান্ত তুলে সোমেনবাবু বলেন, সিবিআই এবং ইডি তাদের কাজ তো করবেই, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কি সুদীপের মতো তাপসের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন? পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের জন্য রাস্তায় ধর্না দিয়েছিলেন, অথচ তাপসের ব্যাপারে নীরব ছিলেন বলে মনে করেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর জিজ্ঞাসা, তাপস নির্দোষ হলে, তাঁকে ২০১৯ সালে টিকিট দিলেন না কেন মুখ্যমন্ত্রী? বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দলীয় সতীর্থের মৃত্যু থেকেও রাজনৈতিক ফসল তুলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা সুস্থ রুচির নমুনা নয়। আদালতে বিচার্য এমন বিষয়ে, রাজ্যে প্রশাসনের প্রধানের এই ধরনের মন্তব্য অনভিপ্রেত বলে মনে করেন সুজন। তিনি বলেন, কোনও অভিযুক্ত মারা গেলেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়ে যায় না। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে দুটি বৈঠক করার পরপরই রাজীবকুমার জামিন পান। এই দুটি ঘটনার পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে কি না তা জানা নেই। তবে, তাপস পালের জন্য তাঁকে সেভাবে উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের মতে, তৃণমূলের একাধিক এমপি আর্থিক কেলেঙ্কারির টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাতেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার স্বীকৃতি মিলেছে। তাঁর মতে, হতাশা থেকে এখন দলের প্রয়াত নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর নামে মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন। এটা দূষিত সংস্কৃতির লক্ষণ বলে দাবি দিলীপের।