নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অধিকাংশ ফসলের শস্য বিমার প্রিমিয়ামের পুরোটাই এখন রাজ্য সরকার বহন করে থাকে। কৃষকদের কোনও আর্থিক দায় নিতে হয় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যের বহু কৃষক এখনও শস্য বিমার আওতার বাইরে রয়ে গিয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৭২ লক্ষ। যার মধ্যে ৯৬ শতাংশই ছোট ও প্রান্তিক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শস্য বিমার আওতায় এসেছেন প্রায় ৪৬ লক্ষ কৃষক। তবে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে দাবি করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৬৯ হাজার কৃষক শস্য বিমার আওতায় ছিলেন। আরও বেশি সংখ্যায় কৃষকরা যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা নেন, তার জন্য প্রচার চালাচ্ছে কৃষি দপ্তর। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করলে বাধ্যতামূলকভাবে বিমা করাতে হয়। তা না হলে বিমা করা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু ঋণ না নিয়ে চাষ করা কৃষকরাও যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা নেন, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।
বাংলা শস্য বিমা যোজনা গত খরিফ মরশুমে চালু করা হয়। এই বিমা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের প্রিমিয়ামের পুরো টাকা বিমা সংস্থাগুলিকে মিটিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার যে শস্য বিমা প্রকল্প চালু করেছিল, তাতে প্রিমিয়ামের একটা সামান্য অংশ কৃষকদের দিতে হতো। বাকিটা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে দিত। রাজ্যে যে নতুন বিমা প্রকল্প চালু হয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও অংশীদারিত্ব নেই। আলু ও আখ ছাড়া সব সব ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ফসলের কৃষি বিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকা রাজ্য সরকার দিয়ে থাকে। ধান, গম, ডাল, তৈলবীজ, ভুট্টা প্রভৃতি ফসল এর আওতায় রয়েছে।