বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি হিসেব অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণী মিলিয়ে রাজ্যে মোট রেশন কার্ডের সংখ্যা এখন প্রায় ৯ কোটি ২৭ লক্ষ। কিন্ত খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, আধার সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হলে এই সংখ্যা প্রায় এক কোটি কমতে পারে। তখন রাজ্যে মোট রেশন কার্ডের সংখ্যা সওয়া ৮ কোটির আশপাশে চলে আসতে পারে। এখনও পর্যন্ত আধার সংযুক্ত হওয়া কার্ডের সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটিরও কম। আধার সংযুক্তিকরণের পরেও জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকের সংখ্যা থাকবে ৬ কোটি ১ লক্ষ। এই কোটা কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ড দুই কোটির আশপাশে থাকবে বলে খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা আশা করছেন। এখন এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে কার্ডের সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লক্ষ।
দুই দফায় নতুন রেশন কার্ড করানোর জন্য রাজ্যজুড়ে যে বিশেষ শিবির খোলা হয়েছিল, সেখানে তিন এবং চার নম্বর ফর্মে আবেদনকারীদের এক নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথম দফায় ৯ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে বিশেষ শিবির চলে সেখানে ৩ এবং ৪ নম্বর ফর্মে আবেদন জমা পড়ে ৪১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১২৩টি। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবিরে ৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ৭ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০৭টি ফর্ম জমা পড়ে। বিশেষ শিবিরে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েছে ভর্তুকিতে খাদ্য পাওয়ার নতুন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য। খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ লক্ষেরও বেশি নতুন রেশন কার্ড এখনও পর্যন্ত ইস্যু হয়েছে। ডাকযোগে কার্ড বাড়িতে পাঠানোর কাজ চলছে। নতুন কার্ডগুলি খাদ্য দপ্তর থেকে আধার সংযুক্তিকরণ করে দিচ্ছে।
ভর্তুকিতে খাদ্য পাওয়ার রেশন কার্ড করতে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় কিছু নির্দিষ্ট আর্থিক মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর করে কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে বলে খাদ্যদপ্তরের দাবি। আর্থিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য যাঁদের আবেদন বাতিল হবে তাঁদের ভর্তুকিহীন খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার বিশেষ রেশন কার্ড দেওয়া হবে। তবে আবেদনকারী তফসিলি জাতি, উপজাতি বা ওবিসি-দের ভর্তুকিতে খাদ্য পাওয়ার কার্ডের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করা হচ্ছে না বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।