গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই নয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান নিয়ে তরুণ গবেষক সায়ক সেনের করা আরটিআই প্রশ্নের জেরে। সহায় কমিশনের রিপোর্ট গত ১৯ ডিসেম্বর লখনউ বিধানসভায় পেশ করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সায়ক জানতে পারেন যে, গুমনামি বাবা এবং নেতাজি এক ব্যক্তি ছিলেন না বলে বিচারপতি বিষ্ণু সহায়ের স্থির সিদ্ধান্তে আসার পিছনে প্রধান কারণ হল মুখার্জি কমিশনের তথ্য। তার ভিত্তিতে সায়ক কলকাতার সেই সরকারি ল্যাবরেটরির কর্তৃপক্ষের কাছে আরটিআই করে গুমনামি বাবার দাঁতের ডিএনএ সংক্রান্ত ইলেকট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্টের কপি চেয়ে পাঠান। তাঁর সেই আরটিআই-এর জবাবেই ল্যাবরেটরির সিপিআইও বিপি মিশ্র ওই ধরনের কোনও রিপোর্ট তাঁদের কাছে নেই বলে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির এহেন উত্তরই নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উদ্ঘাটনের ক্ষেত্রে সরকারি প্রচেষ্টা নিয়ে জন্ম দিয়েছে নতুন প্রশ্ন ও ধন্দ। আরটিআই প্রশ্নকর্তা হিসেবে সায়কও এব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান দাবি করেছেন কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছে। তিনি বলেন, ইলেকট্রোফেরোগ্রাম চার্ট সংরক্ষণ করা যে কোনও ডিএনএ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। মাস কয়েক আগে দিল্লিতে একটি কেসে এই রিপোর্ট সংরক্ষণ না করায় কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির এক পদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে পুলিসে এফআইআর পর্যন্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নেতাজি সংক্রান্ত বিতর্কিত ইস্যুতে এই রিপোর্ট তথা চার্ট কলকাতার ল্যাবরেটরিতে না থাকা রীতিমতো রহস্যের। মুখার্জি কমিশনে ঠিক কী রিপোর্ট সে সময় কলকাতার ল্যাবরেটরি জমা দিয়েছিল, তা নিয়েই এখন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে এই আরটিআই জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে। তবে ২০০৪ সালে হওয়া এই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আমাদের গোড়া থেকেই সন্দেহ ছিল। কারণ, সে সময় কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির রিপোর্ট কমিশনে জমা পড়ার আগেই তা ফাঁস হয়ে যায় কোনও কারণে। তাই রিপোর্টটি ‘পূর্ব নির্দেশিত’ পথেই তৈরি হয়েছিল— এমন অভিযোগের সারবত্তা থাকার পক্ষে জোরালো যুক্তি রয়েছে। এই কারণে আমরা সহায় কমিশনের কাছে ফৈজাবাদের রামভবন থেকে উদ্ধার হওয়া গুমনামি বাবার দাঁতের নতুন করে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলাম। যদিও সেই আবেদনকে আমল দেননি বিচারপতি সহায়। কিন্তু এই আরটিআই জবাবের পর নতুন ডিএনএ পরীক্ষা অনিবার্য বলেই সকলে মানবে। নতুবা আগের পরীক্ষার ইলেকট্রোফেরোগ্রাম চার্ট প্রকাশ্যে আনুক সরকার। বিচারপতি সহায় অবশ্য বলেছেন, যারা ইন্টারনেটে কমিশনের ১৩০ পাতার সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট দেখে এব্যাপারে মন্তব্য করছেন, তাঁদের আমি বলব তাঁরা আগে ৩৪৭ পাতার মূল রিপোর্টটি দেখে নিন। আশা করি, তারপর তাঁদের ধন্দ কেটে যাবে।