পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা ছাড়াও স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্প ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চালের চাহিদা মেটানো হয় সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান থেকে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ৩৫ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ করলেই চালের চাহিদা মেটাতে কোনও সমস্যা হয় না। ওই পরিমাণ ধান সংগ্রহ হলেই উল্লেখিত প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকে চাল আনার দরকার পড়ে না। গত বেশ কয়েক বছর ধরে ভিন রাজ্য থেকে এফসিআই-র মাধ্যমে চাল আনাতে হয়নি। বরং অল্প হলেও এই রাজ্যের কিছু পরিমাণ চাল ভিন রাজ্যে রেশনে সরবরাহ করার জন্য পাঠিয়েছে এফসিআই।
ফেব্রুয়ারি মাসের পর ধান সংগ্রহের গতি কমে গেলেও ৪০ লক্ষ টনের আশপাশে ধান সংগ্রহ করতে কোনও সমস্যা হবে না বলে খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা আশা করছেন। গত মরশুমে প্রায় ৩৯ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল। এপ্রিল-মে মাসে বোরো ধান ওঠার পর সংগ্রহের মাত্রা ফের বাড়বে এমনটাই আশা খাদ্যদপ্তরের। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস পর্যন্ত ধান কেনা চলবে। সরকারি স্থায়ীকেন্দ্রে এসে ধান বিক্রি করতে এবার চাষিদের আগ্রহ কিছুটা বেড়েছে। এখানে ধান বিক্রি করলে কুইণ্টাল প্রতি ২০ টাকা অতিরিক্ত পান চাষিরা। তবে ধান সংগ্রহ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহল মনে করছে, আরও বেশি সংখ্যায় অস্থায়ী শিবির খুললে সংগ্রহ আরও বেশি হতো। অস্থায়ী শিবিরগুলি গ্রামের মধ্যে হয়। ফলে চাষিদের আসতে সুবিধা হয়। সরকারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে গ্রামের কৃষি সমবায় সংস্থা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত অস্থায়ী শিবির কিছুটা কম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। সরকারি নির্ধারিত দরের থেকে খোলাবাজারে ধানের দাম কুইণ্টালে প্রায় তিনশো টাকা কম। ফলে চাষিদের সরকারের কাছে ধান বিক্রি করার আগ্রহ রয়েছে।