বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্য নির্বাচন কমিশনে প্রাথমিকভাবে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১টায় দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ার জেলাশাসককে বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন হচ্ছেন কলকাতা পুরসভার ভোটের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক। ফলে রাজ্যে পুরভোটের দামামা পুরোদমে বেজে উঠল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পুরদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ১১২টি পুরসভায় ভোটের সময় হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে হাওড়া সহ ১৭টি পুরসভার মেয়াদ গত ২০১৮ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। বাকি ৯৩টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এপ্রিল-মে মাসে। এই তালিকায় কলকাতা পুরসভা সহ রাজ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরসভা রয়েছে। শুধুমাত্র বিধাননগর ও আসানসোল পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি। এই দুটি পুর নিগমের ভোট পুজোর পরে হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বারাকপুর মহকুমার আটটি পুরসভা অর্থাৎ টিটাগড়, বারাকপুর, উত্তর বারাকপুর, গাড়ুলিয়া, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ায় এখনই ভোট হবে না। এই আটটি পুরসভা নিয়ে একটি নতুন কর্পোরেশন তৈরি হবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে সেখানে ভোট হবে।
এই পুরভোটের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এলাকা পুনর্বিন্যাস, ওয়ার্ড সংরক্ষণের কাজ শেষ করেছে। সেই সংরক্ষণের তালিকার উপর ভিত্তি করেই ভোটগ্রহণ হবে। তবে এই পুরভোটে যাতে পঞ্চায়েত ভোটের মতো অশান্তি না হয়, তার জন্য সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। কেননা সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের মতো আগামী বিধানসভার ভোটেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলে শাসকদল মনে করছে। সেই মতো নিরুপদ্রব ভোট করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা, হাওড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরসভাগুলির ফলাফলের উপরে রাজনীতিতে অনেক প্রভাব পড়তে পারে।
গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর অনেকটাই ঘর গুছিয়েছে তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূলের জনসংযোগ বৃদ্ধি হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজকে হাতিয়ার করে ভোটে নামতে চাইছে তৃণমূল। উল্টোদিকে নাগরিকত্ব আইনকে সামনে রেখে তৃণমূলকে বেগ দিতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু এনআরসি’র ইস্যুতে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে। তার প্রমাণ গত তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচন। যেখানে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আসন খড়্গপুর দল ধরে রাখা পারেনি। গত লোকসভা ভোটে বিশাল মার্জিনে জেতা কালিয়াগঞ্জেও বিজেপি’কে তৃণমূলের কাছে হারতে হয়েছে। এই নির্বাচন থেকে তৃণমূল আবার ‘চার্জড’ হয়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম যেভাবে পুরসভা পরিচালনা করছেন, তাতে দলের সুনাম বেড়েছে। এই সুনামকেই ‘ক্যাশ’ করে ভোটে নামতে চাইছে তৃণমূল।