পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিধানসভায় স্ট্যান্ডিং ও হাউস মিলিয়ে মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। কমিটিগুলির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন দলের বিধায়করা রয়েছেন। একজন বিধায়ক কমপক্ষে তিনটি কমিটির সদস্য রয়েছেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী মাসে অন্তত চারটি কমিটি বৈঠকে যোগ দিলে বিধায়করা ভাতা বাবদ ৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন। দূরবর্তী জেলার বিধায়কদের কথা মাথায় রেখে প্রতি ১৫ দিন অন্তর পরপর তাঁদের কমিটিরগুলির বৈঠক রাখার ব্যবস্থা করা হয় বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, এই সব কমিটি বৈঠক কার্যত নামকাওয়াস্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনেক সদস্য সময়মতো হাজিরাও দিচ্ছেন না বৈঠকে। নির্দিষ্ট সময়ের দু’ঘণ্টা পরে এসেও হাজিরা খাতায় সই করে দিব্যি পার পেয়ে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যানরা এনিয়ে একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছেন। বছরখানেক আগে অধ্যক্ষ এব্যাপারে একবার সতর্ক করেছিলেন চেয়ারম্যানদের। তারপর কিছুদিন পরিস্থিতি খানিকটা বদল হয়। কিন্তু তারপর যে কে সেই অবস্থা দাঁড়িয়েছে বলে সচিবালয়ের অফিসাররাই জানিয়েছেন।
এদিন বৈঠকে চেয়ারম্যানরাও অধ্যক্ষের কাছে এনিয়ে তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা জানান। অধ্যক্ষ তখন বলেন, আমি সব খবর পেয়েছি। বিধায়করা কমিটি বৈঠককে স্রেফ রোজগারের একটা বিষয় বলে ধরে নিয়েছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাস্তব সত্য। হাজিরা নিয়ে এবার চেয়ারম্যানদের কঠোর হতে হবে। কারণ, তাঁদেরও এব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে। আসলে দু-চারজন চেয়ারম্যানও একই দোষে দুষ্ট বলে আমার কাছে খবর আছে। তাই পরিস্থিতির বদল আনতে প্রথমে চেয়ারম্যানদেরই কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি আমি নিজেও এনিয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছি। কমিটিতে আলোচনা বা বিষয়ের গুরুত্ব কমিয়ে আনার প্রবণতা বন্ধ করতেই হবে বিধানসভার ঐতিহ্য বজায় রাখতে।
আগামী ১৩ মার্চ থেকে বর্ধিত বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। তার আগে বিধায়কদের নিয়ে তৈরি স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলি দপ্তরওয়ারি প্রাক-বাজেট খতিয়ে দেখার কাজ সেরে থাকে। এবারও সেই পর্ব আরম্ভ হবে আগামী সোমবার থেকে। চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। এদিনের বৈঠকে এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ চেয়ারম্যানদের জানিয়ে দেন, প্রাক-বাজেট যাচাই পর্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কমিটিগুলির কাজের ক্ষেত্রে। এই কাজ যতটা সম্ভব নিখুঁত হওয়া দরকার। তবে অনেক চেয়ারম্যান পরে বলেন, এবার এই কাজের জন্য অন্যান্যবারের তুলনায় সময় কম পাওয়া যাচ্ছে। কারণ, অন্যান্যবার দপ্তরওয়ারি বাজেট নিয়ে আলোচনার অধিবেশন মার্চে সাধারণত হয়নি। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত সচিবালয় বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও অনেক দপ্তর এখনও মন্ত্রীর ভাষণের ছাপানো বই বিধানসভায় পাঠায়নি। একটি দপ্তরের ক্ষেত্রে আবার ভুল ছাপা ধরা পড়ায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে।