গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রোজভ্যালি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন তাপস পাল। তাঁকে ভুবনেশ্বর আদালতে তোলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রোজভ্যালি কর্তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে রোজভ্যালিকেও বিভিন্ন সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন বলে সিবিআই দাবি করে। জেরায় তাপসবাবু সিবিআইয়ের কাছে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই। সেখানে বিশ্বাসভঙ্গ, ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি সহ একাধিক ধারা দেওয়া হয়। এরপর তিনি দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন। পরে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। জামিন পেলেও শুনানির দিন পড়লে তাঁকে হাজিরা দিতে হতো ভুবনেশ্বর আদালতে। সিবিআই এই মামলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ এই মামলায় অনেক প্রভাবশালী জড়িত রয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। এমনকী মানসিকভাবেও সুস্থ ছিলেন না তিনি। তাঁর এই অসুস্থতা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
তাপস পালের মৃত্যুর খবর মঙ্গলবার দুপুরে জানতে পারেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। নিয়ম বলছে শুনানি চলাকালীন কারও মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্টকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। গোটা প্রক্রিয়াটি আদালতের নিয়ম মেনে করা হয়। যাতে মূল মামলায় কোনও আঘাত না লাগে এবং শুনানি প্রক্রিয়া ব্যাহত না হয়। তৃণমূলের প্রাক্তন এমপি’র ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে চাইছেন সিবিআই কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, যেহেতু তিনি মারা গিয়েছেন, তাই এই কেসে তাপসবাবুকে রাখা অর্থহীন। রোজভ্যালি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তাঁকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে। এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরো বিষয়টি আদালতের উপর নির্ভর করছে।