কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুধু হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে পড়াই নয়, মালদহের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক টোকাটুকিরও অভিযোগ উঠেছে। রতুয়ায় প্রকাশ্যে নকল সরবরাহ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। রতুয়া হাইস্কুল, ভালুকা রাইমোহন মোহিনীমোহন বিদ্যাপীঠের পরীক্ষাকেন্দ্রে দেওয়াল বেয়ে কার্নিশে উঠে টুকলি সরবরাহ করা হয়। বিষয়টি লক্ষ করে পুলিস অভিযুক্তদের পিছু ধাওয়া করে। টুকলি সরবরাহের জেরে পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকরা খুশি নন। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত হবে বলে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র এবং পুলিস সুপার অলোক বাজোরিয়া জানিয়েছেন।
এদিন টালা ব্রিজ সংলগ্ন স্কুলগুলিতে ঘুরেছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে ব্রিজ ভাঙা থাকায় কোনও পড়ুয়ার কেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হচ্ছে কি না, সেটা দেখার জন্যই গিয়েছিলেন তিনি। তবে পর্যাপ্ত পুলিসি ব্যবস্থা ছিল। পুলিসের গাড়িতেই বহু প্রার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদিন দক্ষিণ কলকাতার ইউনাইটেড মিশনারি সহ বেশ কিছু স্কুলে ঘোরেন কলকাতা পুলিসের কমিশনার অনুজ শর্মা। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গোলাপ ফুলও দেন। তিনি পরে বলেন, কথা বলে জানলাম, ওরা আত্মবিশ্বাসে ফুটছে। আশা করি, সবার পরীক্ষা খুব ভালো হবে। বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় পাঁচটি বাসে করে পরীক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। অভিভাবকদের জন্য শেডও তৈরি করে দেন। এছাড়াও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষার্থীদের জন্য ছিল বিশেষ পরিষেবা। কোথাও তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, কোথাও ফুল, জলের বোতল বা হালকা খাবার দেওয়া, সবই হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং অটো-টোটোচালকরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
প্রথমদিন প্রশ্নপত্র অবশ্য বেশ সহজই ছিল বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেছেন, পরীক্ষা নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। নাহলে এত কড়াকড়ির মধ্যে কীভাবে বার বার প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসে?