গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর ছেলে ইমনকে বাড়িতে রেখে বারঘড়িয়ার বাসিন্দা মতলেব মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী জরুরি কাজে বেরিয়েছিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন ছেলে ঘরের পাখা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। পরের দিন শরৎনগর থানায় নির্দিষ্টভাবে ছ’জনের নাম করে তাঁরা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযুক্তরা সকলেই তাঁদের আত্মীয়। জমি বিবাদের কারণেই তাঁদের সন্তানকে খুনের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরা। প্রায় আট মাস পর পুলিস বসিরহাটের এসিজেএম আদালতকে জানায়, অভিযোগের সারবত্তা নেই। ফলে তদন্ত চালানো অর্থহীন। আদালতও পুলিসের এই অভিমত মেনে নেয়।
এই রায়কে মতলেব হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। একক বিচারপতি পুলিসকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়। যা তাঁর পছন্দ হয়নি। ফলে সেই নির্দেশও তিনি দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেন। তাঁর আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে স্রেফ গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ার কারণে মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, কীভাবে সাত বছরের একটি ছেলে কোনও চেয়ার বা টুলের সাহায্য ছাড়া অত উঁচুতে থাকা পাখায় কাপড় বাঁধল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। দ্বিতীয়ত, ঘটনার পর যেসব ছবি তুলে রাখা হয়েছিল, তাতে একটু নজর করলেই দেখা যাবে, ছেলেটির গলার শুধু ডানদিকে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। কিন্তু, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুললে শুধু এক জায়গাতেই কেন রক্ত জমাট বাঁধবে? পুলিস এই অতি সাধারণ দু’টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কোনও চেষ্টা করেনি। এমনকী হেসেখেলে বেড়ানো প্রাণবন্ত একটি শিশু কোনও কারণ ছাড়াই কেন আত্মহত্যা করবে, তারও কোনও ব্যাখ্যা ইমনের বাবা-মায়ের কাছে নেই। পুলিসও সেই উত্তর দেওয়ার দায় নেয়নি!