গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরমন্ত্রী আসন্ন পুরসভা নির্বাচন নিয়ে আরও বলেন, মানুষ ঠিক করবেন আমাদের রাখবেন কী রাখবেন না। তবে, আমি নিশ্চিত যে বাংলার মানুষ কাজের জন্য ভোট দেবেন। দিল্লির মানুষকেও দেখা গেল, তাঁরা কাজের জন্য ভোট দিয়েছেন। বাংলার মানুষও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জন্য ভোট দেবেন।
কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দির চত্বরে ‘নবনীড়’ নামে একটি চারতলা বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করেছেন বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য খোকন দাস। সেই বৃদ্ধাশ্রমের উদ্বোধনে এসেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে তিনি উদ্বোধন করেন। তারপর বৃদ্ধাশ্রমে স্মারক উন্মোচন করেন। আবাসিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দিরে যান। স্থানীয় উদ্যানও ঘুরে দেখেন। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শ হল মানুষের জন্য কাজ করা। মানুষের পাশে থাকা। আজ কাঞ্চনগরে এসে কাজ দেখলাম। এর জন্য খোকনকে ধন্যবাদ। এটা বেস্ট বৃদ্ধাশ্রম। এটা একটা মহৎ কাজ। আমার এলাকাতেও নবনীড় নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে শাড়িগুলি উপহার পান, তা থেকে ওই আবাসিকদের দিয়ে আসেন। তিনি বলেন, কাঞ্চননগরে উপনগরী তৈরি করার জন্য আমি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান রবিরঞ্জনবাবুকে বলছি, একটি ডিপিআর তৈরি করুন। তারপর আমার কাছে জমা দিন।
এই বৃদ্ধাশ্রমের কর্ণধার খোকন দাস বলেন, মানুষের সহযোগিতায় চার কোটি টাকা খরচ করে এই নবনীড় তৈরি হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে ১০০ জন দুঃস্থ আবাসিক এখানে থাকতে পাবেন। এখন ৫০জন আবাসিক এসেছেন। চিকিৎসা পরিষেবা সহ তাঁদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সবরকম ব্যবস্থা থাকবে।