পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ। বেআইনি বাড়ির প্লান পাশ করানো থেকে আর্থিক দুর্নীতি, এমনকী অসামাজিক কাজে মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ জানিয়ে বেশ কিছু ফোন গিয়েছে দিদিকে বলো-তে। আর পাঁচটি বিষয়ের মতোই এইসব অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর করতে গিয়েই দেখা যাচ্ছে অনেকাংশে দলেরই আরেক টিকিট প্রত্যাশী চক্রান্ত করে দিদিকে বলো’য় ফোন করিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠদের দিয়ে। আইপ্যাকের কর্মিবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছে। সেই সুবাদেই তাদের পর্যবেক্ষণে দলের এই গোষ্ঠীবাজির বিষয় সামনে উঠে এসেছে। সূত্রের মতে, এটা কলকাতা পুর এলাকার কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দিদিকে বলো মারফত রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ফোনে পাওয়া অভিযোগের তালিকা থেকে এই ঝাড়াই বাছাই করতে হচ্ছে আইপ্যাককে। পিকের নির্দেশ অনুসারে প্রশাসনিক অভিযোগ আইপ্যাক নিজেই সামাল দিচ্ছে। এই ব্যাপারে নবান্নের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে পিকের টিম। পুর-পরিষেবা সংক্রান্ত অভাব-অভিযোগ সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষের নজরে এনে সমাধানে সচেষ্ট রয়েছে পিকে’র বাহিনী। দলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, একদিকে জনসংযোগ বেড়েছে, অন্যদিকে প্রশাসন ও পুরসভা সম্পর্কে মানুষের মনোভাবেও বদল ঘটছে। কিন্তু দিদিকে বলো জনপ্রিয় হতেই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেও কেউ কেউ একে ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যেই তা টের পেয়ে গিয়েছে পিকের দল। ফলে, কোনটি নিছকই অভিযোগ, আর কোনটি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, তা আইপ্যাকের পেশাদারদের আতস কাচেই ধরা পড়ছে। তবুও সেইসব অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আইপ্যাক তা দলের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নিজে বিবদমান দুই পক্ষ এবং অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর রিপোর্ট তৈরি করছেন। হুগলির এক নেতার দাবি, একাধিক ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যক্তিগত আক্রোশজনিত অভিযোগ এসেছে। তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ভুয়ো অভিযোগের বিষয় যেমন আছে, তেমনই আবার ওই একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও মিলেছে। সেক্ষেত্রে শুধু গোষ্ঠী কোন্দলের দোহাই দিয়ে সেই সব অভিযোগকে লঘু করা যাচ্ছে না। তাই খুব সতর্ক হয়ে চলতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে আইপ্যাকের এই রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। কলকাতার এক বর্ষীয়ান নেতার মতে, পুরোপুরি পেশাদারি পদ্ধতিতে প্রার্থীদের পারফরম্যান্স যাচাই চলছে। সেই রিপোর্ট দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা পড়তে শুরু করেছে। প্রার্থী বাছাইয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর তিনিই দেবেন।