নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। সোমবার বিধানসভায় এব্যাপারে বিবৃতি দেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, পরিবহণ ব্যবস্থা সুষ্ঠু রাখার জন্য জেলাশাসকদের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়েছে। যানবাহন যাতে ঠিকমতো চলে, তার জন্য পুলিশের সঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের ইন্সপেক্টররা রাস্তায় থেকে নজরদারি করবেন। পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন রুটে সরকারি ও বেসরকারি বাস থাকবে। বেপরোয়া গতিতে যাতে গাড়ি না চলে, তার জন্য রাস্তায় ২০ কিলোমিটার অন্তর যন্ত্র দিয়ে গতিবেগ নির্ধারণ করার ব্যবস্থা থাকবে বলে তিনি জানান। পরিবহণমন্ত্রী এদিন আরও জানান, হুগলির পোলবায় স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে যে গাড়িটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে, সেটিতে কোনও ‘স্পিড গভর্নর’ ছিল না। বিধানসভায় অধিবেশনের শেষ পর্বে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে বিবৃতি দিতে বলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার বলেন, বেশ কয়েকজন বিধায়ক তাঁকে বলেছেন, রাস্তাঘাটে যানজট হচ্ছে। এতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারে। যান চলাচল সুষ্ঠু রাখার জন্য পরিবহণ দপ্তর কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা সভায় বিভাগীয় মন্ত্রীকে জানাতে বলেন স্পিকার।
অন্যদিকে, কলকাতার মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন লালবাজারের কর্তারা। শহরে কোথাও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যানজটে বা অন্য কোনও কারণে ফেঁসে গেলে কলকাতা পুলিস বাইকে বা গাড়িতে সেই পড়ুয়াকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবে। শহরের যান নিয়ন্ত্রণ যাতে যথাযথভাবে হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও থাকবে। এমনই জানিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। সোমবার লালবাজারে কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিন্হা বলেন, শহরে মোট ১৮২টি মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন সাব ইন্সপেক্টর, দু’জন কনস্টেবল থাকবেন। এছাড়া যে কেন্দ্রগুলিতে শুধুমাত্র মহিলা পরীক্ষার্থী থাকবে, সেখানে একজন সাব ইন্সপেক্টর, তিনজন কনস্টেবল থাকবেন। সঙ্গে অতিরিক্ত দু’জন মহিলা কনস্টেবলও থাকবেন। দীর্ঘদিন ধরেই লালবাজারের ‘১০০ ডায়াল’-এর কন্ট্রোল রুম যান্ত্রিক ত্রুটি কারণে বিপর্যস্ত হয়েছিল। এখন সেই ত্রুটি মেরামত করে ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।