বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অর্থ দপ্তরের নির্দেশিকায় প্রথমে জানানো হয়েছিল, ১৭ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা বেতনের সরকারি কর্মী ও ৮৫০০ টাকা থেকে ২২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত পেনশনভোগীরা স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় সরকারি হাসপাতালে পে কেবিনে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। এর থেকে বেশি বেতন ও পেনশন প্রাপক সরকারি কর্মী-আধিকারিকদের ও অবসরপ্রাপ্তদের বিভিন্ন ধরনের পে কেবিন পাওয়ার যোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়। বেতন বা পেনশনের পরিমাণ অনুযায়ী একজন থাকার বড় কেবিন, একজন থাকার ছোট কেবিন ও দুইজন থাকার বড় কেবিন চিহ্নিত করা হয়। সংশোধিত নির্দেশে বলা হয়েছে, ১৭ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা বেতনের কর্মী ও ৮৫০০ টাকা থেকে ২২ হাজার ৫০০ টাকা পেনশন প্রাপকরাও সরকারি হাসপাতালে দুইজন থাকার পে কেবিনে ভর্তি হতে পারবেন।
এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যে পে কেবিনে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কলকাতা ও জেলার আরও সরকারি হাসপাতালে আগামী দিনে এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। বেসরকারি হাসপাতালের থেকে কম খরচে ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে।
সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুযোগ নিলে আধিকারিক ও কর্মীরা এবং পেনশনভোগীরা চিকিৎসা ভাতা পান না। এই ভাতার পরিমাণ সব আধিকারিক ও কর্মীদের ক্ষেত্রে সমান। আগে এটা মাসে তিনশো টাকা ছিল। জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পর তা বেড়ে পাঁচশো টাকা করা হয়েছে। সম পরিমাণ টাকা কাটা সত্ত্বেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবায় বেতন বা পেনশনের পরিমাণের ভিত্তিতে কেন বৈষম্য থাকবে, সেই প্রশ্ন কর্মী সংগঠনগুলির তরফ থেকে তোলা হয়। অবশ্য বেসরকারি হাসপাতালে কী শ্রেণীর বেড বা কেবিন সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকরা পাবেন, সেটা বেতন বা পেনশনের ভিত্তিতেই ঠিক হয়। বেসরকারি হাসপাতালের জন্য এই ব্যবস্থা বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকে চলছে। সাম্প্রতিক নিদের্শিকা ও সংশোধিত নির্দেশিকাতে বেসরকারি হাসপাতালের এই ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।