পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিধানসভায় অর্থ ও উপযোজন বিলের উপর আলোচনায় জবাবী ভাষণে অর্থমন্ত্রী রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। বিরোধী বাম ও কংগ্রেস অবশ্য বিধানসভার আলোচনায় এবং লবিতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন অভিযোগ করেছেন, এই বাজেটে ‘জালিয়াতি’ করা হয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে। বাজেট পুস্তিকার বিভিন্ন জায়গায় পরিসংখ্যানগত বিভ্রান্তি তিনি তুলে ধরেন। উচ্চশিক্ষা সহ কয়েকটি দপ্তরের অর্থ বরাদ্দ নানা রকম দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির যে দাবি করা হচ্ছে, সেটিও ঠিক নয় বলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে সুজনবাবু দাবি করেন। বিধানসভায় আলোচনায় সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, এখানে কী এমন জাদু আছে যে, গোটা দেশে যেখানে বৃদ্ধির হার অনেকটা থমকে গিয়েছে, সেখানে এরাজ্যে এতটা বৃদ্ধি হচ্ছে। অশোকবাবু বলেন, মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে দেশে প্রথম মহারাষ্ট্র। পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ স্থানে আছে। রাজ্যে কাটমানির অর্থনীতি ও লুণ্ঠনের সংস্কৃতি চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অশোকবাবুকে জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী ত্রিমুখী পথে রাজ্যের উন্নয়ন কীভাবে হচ্ছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির কথা বিধানসভায় পরিসংখ্যান সহকারে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, এলআইসি-কে রুগ্ন সংস্থায় পরিণত করে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখান থেকে সংগৃহীত কেন্দ্রীয় করের ৪২ শতাংশ রাজ্যের পাওয়ার কথা। কিন্ত বাস্তবে ৪১ শতাংশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় করের অংশ হিসেবে রাজ্য গত আর্থিক বছরে ৫৫ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। এবার তা কমে ৪৮ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। জিএসটি-র ক্ষতিপূরণ বাবদ জানুয়ারি মাসে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়নি। সেস-সারচার্জ বসিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা তুলছে। কারণ তার অংশ রাজ্যকে দিতে হয় না।
বানতলা লেদার কমপ্লেক্স, কল্যাণীতে ই-কমার্স সংস্থার লজিস্টিক হাব, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ও হাওড়ার অঙ্কুরহাটিতে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি পার্কে সব মিলিয়ে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা, আরএসপি-র বিশ্বনাথ চৌধুরী, ফরওয়ার্ড ব্লকের আলি ইমরাম রামজ বিতর্কে অংশ নেন। বিরোধীরা মদ থেকে রাজ্যের আয় বৃদ্ধির কড়া সমালোচনা করেন। তফসিলি উপজাতিদের জন্য নতুন পেনশন প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব এদিন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে।